পুরুষ / মায়া অ্যাঞ্জেলো

আমি যখন যুবতী, আমি
পর্দার আড়াল থেকে তাকিয়ে দেখতাম
পুরুষগণ হেঁটে যেত রাস্তায়। পুরনো, বৃদ্ধ আর
তরতরে যুবক। দেখতাম তাদের। এইসব পুরুষরা
সবসময় যাচ্ছে কোথাও না কোথাও।
তারা জানত আমি আছি সেখানে। পনের বছর বয়সী
আমি পথ চেয়ে আছি তাদের জন্য।
আমার জানালার নিচে, থেমে যেত তারা,
তাদের কাঁধ উঁচু হয়ে যেত
যুবতীর স্তনের মতো
শৃগালের লেজ ঝুলছে
পেছনের জনে,
হায় পুরুষ

একদিন তারা তোমাকে ধরবে হাতের মুঠোয়,
খুব আলতোভাবে, যাতে মনে হয়
তুমি পৃথিবীর শেষ ডিম্ব। এরপর আঁটো হয়ে আসবে মুঠো
একটু একটু করে। প্রথম সংকোচন মনে হবে সুন্দর। এরপর দ্রুত
এক সোহাগ। তোমার প্রতিরোধহীনতায় আলতো এক ছোঁয়া। আরেকটু
বেশি। শুরু এবার আঘাতের। ভয়ের বুক চিরে ভেসে ওঠে মৃদু হাসি। তারপর
বাতাস উধাও, তোমার মন উথলে ওঠে, সংক্ষিপ্ত বিস্ফোরণ, রান্নাঘরের
দেশলাইয়ের মতো। বিধ্বস্ত।
তোমারই রস বইতে থাকে
তাদের উরুর মাঝে
দাগ ফেলে তাদের জুতোয়
এরপর পৃথিবী ফিরে আসে আপন কক্ষপথে
জিহ্বায় ফিরতে চায় পুরনো সে স্বাদ,
বন্ধ হয়ে গেছে আজ তোমার শরীর। চিরকালের জন্য।
নেই কোনো চাবি।

তারপর পুরো জানালাই চেপে বসে
তোমার মনে। সেখানে, পর্দার অন্তরালে
হেঁটে যায় সেইসব পুরুষ

জেনে যায় কিছু
চলে যায় কোথাও
কিন্তু এইবার, আমি কেবল
দাঁড়াব আর দেখব

সম্ভবত।

১১.০৮.২০১৬

Originally published at সুহৃদ সরকার.

--

--