“মুক্তির পর শায়খুল হিন্দ রহঃ ফতোয়া দান করেন, গান্ধির নেতৃত্বে সকল মুসলিমের জন্য জরুরী “অসহযোগ আন্দোলনে” যোগ দেয়া।”
(অসহযোগ আন্দোলন ছিল, ইংরেজদের সকল প্রকার সহযোগিতা বন্ধ করে দেয়া, সরকারি-আধা সরকারি চাকুরি পরিত্যাগ করা! একই মত ছিল হুসাইন আহমাদ মাদানির)
- Deoband Ulema’s Movement for the Freedom of India (1st ed.). মানাক প্রকাশনী. পৃষ্ঠা. ১১৬
(বইয়ের লিঙ্ক কমেন্টে, ইংরেজি পড়তে অভ্যস্ত ভাইরা পড়তে পারেন)
.
.
উক্ত ফতোয়ার বিরোধিতা করে থানভি রহঃ বলেন,
“কোনো ভাবেই (ইংরেজদের অধীনে থেকে) সরকারী চাকুরি ছেড়ে দেয়া বৈধ হবে না।”
(কামালাতে আশরাফিয়া, পৃষ্ঠা ২২৩)
.
যারা উক্ত ফতোয়ার আলোকে চাকুরি ছেড়ে দিলেন, তাদেরকে থানভি রহঃ “কমবুদ্ধিসম্পন্ন ও বিবেকহীন” বলে আখ্যায়িত করেন।
(আল-ইফাদাতুল আশরাফিয়া দর মাসায়িলে সিয়ামিয়াহ, পৃষ্ঠা ২৬-২৭)
.
গান্ধীর সমর্থনের বিরোধিতা করে থানভি রহঃ বলেন,
“গান্ধী হচ্ছে তাগুত, দাজ্জাল, প্রতারক, জ্ঞানপাপী, ইসলামের দুশমন।”
— আল ইফাদাতুল ইয়াওমিয়্যাহ, খন্ড-৫, পৃষ্ঠা ৪৮
.
.
উভয়েই ভুলের উপর আছেন এটা তো পরিষ্কার… কেননা ঈমান আনার পর সর্বপ্রথম ফরজ আগ্রাসী শত্রুকে প্রতিহত করা।
বিস্তারিত দেখুন — https://www.youtube.com/watch?v=ctEuWwA8qig
.
.
তবে মূল বিষয় হচ্ছে, বর্তমান উলামায়ে কেরামের আপোসকামী ও সুবিধাবাদী দৃষ্টিভঙ্গির উৎস কোথায় তা জানা।
(চলবে ইনশা’আল্লাহ)
#নব্য_দেওবন্দি_চিন্তাধারা