ভ্যারিয়েবেল ও ডেটাটাইপ | Variable & Datatype in C programming🔥

প্রোগ্রামিংয়ে ভ্যারিয়েবল এবং ডেটাটাইপ নিয়ে সকল ধরণের কনফিউশন দূর করতেই এই ব্লগটির জন্ম।

Ehsanul Islam
10 min readAug 20, 2022

এই ব্লগটি থেকে যা জানতে পারবেন-

  • ভ্যারিয়েবল জিনিসটা কি এবং এটি কিভাবে কাজ করে?
  • কিভাবে একটি ভ্যারিয়েবল নামকরণ করতে হয় এবং এর প্রয়োগ
  • ভ্যারিয়েবলগুলো কি কি ডেটাটাইপের হতে পারে এবং তার কিছু উদাহরণ

সি কম্পাইলার বা IDE নিয়ে জানতে চাইলে, এই ব্লগটি থেকে ঘুরে আসতে পারেন। এখানে অত্যন্ত সহজ ভাষায় Compiler এবং IDE এর পার্থক্য এবং কিভাবে করবেন তা বলা হয়েছে। এমনকি সি প্রোগ্রামিং শেখার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ সোর্স নিয়ে আলোচনাও করা হয়েছে।

কথা না বাড়িয়ে এবার চলুন শুরু করা যাক। প্রোগ্রামিং শিখতে হলে ভ্যারিয়েবলের বিষয়টি সবার প্রথমেই চলে আসে। এটি খুবই সহজ একটি বিষয়। গণিতের কোন ভ্যারিয়েবল বা চলক এর মতই আমরা প্রোগ্রামিংয়ের ভ্যারিয়েবল ব্যবহার করে থাকি। পরীক্ষায় কোন প্রশ্নে যদি লিখা থাকে x = 4 । এটি দ্বারা আপনি কিন্তু বুঝে ফেলছেন x এর মান 4। এখন যদি আপনার কাছে x এর মানটি খাতায় লিখতে বলা হয়, আপনি সরাসরি 4 লিখে দিবেন। প্রোগ্রামিংয়ে ভ্যারিয়েবল জিনিসটা অনেকটাই এরকম। চলুন এই ব্যাপারটি সি প্রোগ্রামিং দিয়ে করে দেখাই।

ভালো করে বুঝতে নিচের ছবিটির দিকে তাকাই। আউটপুটসহ দেওয়া আছে।

ভেরিয়াবল x এর ভ্যালুটি(4) প্রিন্ট করানো হয়েছে

ছবির কোডিং এর লেখাগুলো বুঝতে একটু সমস্যা হলেও আপাতত জেনে রাখুন যে, পঞ্চম লাইনে int x = 4; দিয়ে আমি বলে দিচ্ছি- 4 সংখ্যাটি x নামক ভ্যারিয়েবলের মধ্যে রেখে দাও। তখন x এর মান হয়ে গেল 4। পরবর্তী লাইনে printf(“%d”, x); লেখার মাধ্যমে আমি বলে দিচ্ছি যে, x এর মানটি প্রিন্ট করাও। কনসোল বক্সে তাই আমাদের আউটপুট এসেছে 4

কোডটি আমি কিভাবে লিখলাম এবং কোন জিনিসটা কেনো লিখলাম এই ব্যাপারগুলো আমরা একটু পরে ধীরে ধীরে আলোচনা করব। কম্পিউটার এগুলোকে কিভাবে চিহ্নিত করে এবং এগুলো কিভাবে কাজ করে তা কিন্তু আমাদের স্পষ্ট জানতে হবে। কারণ কম্পিউটারের চিন্তা-ভাবনাগুলো ধরতে পারলেই তো আমরা তার সাথে যোগাযোগ করতে পারব, তার ভাষা বুঝতে পারব, তাই নয় কি?

কম্পিউটারের দুনিয়া হল অদৃশ্য এক দুনিয়া। এটি দিয়ে যে কত কিছু করা সম্ভব তা আপনি চিন্তাও করতে পারবেন না। কম্পিউটার তার নিজের মতো করে একটি কাল্পনিক জগত বানিয়ে রেখেছে, যেখানে সে তার নিজের মত করে রাজত্ব করে। তাই কম্পিউটারের চিন্তা-ভাবনাগুলোকে ধরতে হলে আপনাকেও কাল্পনিক জগতে যেতে হবে, ভাবুক হতে হবে। কারণ কম্পিউটারের কাজই হল মানুষের ভাবুক চিত্তকে বাস্তবে রূপ দেয়া। এবার চলুন গল্প করতে করতে আমরা আমাদের চিন্তাশক্তি দিয়ে অদৃশ্যকে দেখার চেষ্টা করি। ভ্যারিয়েবল জিনিসটিকে আমরা আর একটু গভীরভাবে বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করি এবং উপলব্ধি করি।

এক কাল্পনিক জগতের ভেরিয়েবল

আচ্ছা, আমরা সকলেই তো আমাদের পাড়া-মহল্লা বা আমাদের এলাকা ভালভাবেই চিনি, তাই না? আশেপাশের কোন টং এর চা বেশি মজা অথবা কোন দোকানে কি পাওয়া যায় আমরা কমবেশি সবাই জানি। আর যাই হোক আমরা আমাদের এলাকার নামটা জানি। আমাদের এলাকা কোন এলাকার মাঝে অবস্থিত সেটাও জানি। আমি কোন দেশে বাস করি সেটাও জানি। আর আমরা সবাই যে এই পৃথিবীতে বাস করি সেটাও জানি। তাই না? 😄

আচ্ছা একটি বিষয় খেয়াল করেছেন কি? আমাদের পৃথিবীর প্রত্যেকটি দেশ এবং প্রত্যেকটি জায়গার নাম ভিন্ন ভিন্ন। বাংলাদেশ বললে কেউ কখনো আমেরিকায় যাবে না। আবার বাংলাদেশের একজন মানুষ আমেরিকায় গেলে বলা হয়- সে আমেরিকায় আছে এখন। আমেরিকা থেকে কেউ বাংলাদেশে আসলে সেও বাংলাদেশে আছে বলে ধরে নেওয়া হয়।

অনেক সহজ সহজ কথা, তাই না? হুমম, এই সহজ বিষয়গুলোই এখন একটু অন্যভাবে কল্পনা করতে হবে আমাদের, বুঝতে পারলেন? কারণ প্রোগ্রামাররা তাদের কল্পনা এবং ইচ্ছাশক্তি দিয়েই সবকিছু বাস্তবে রূপ দেয়। জানেন তো Nothing is impossible in Programming। চলুন এবার একটু ভাবুক হয়ে যাই।

আচ্ছা আমি যদি আপনাকে বলি আমাদের কম্পিউটারে যে মেমোরি আছে এটাও পৃথিবীর মতো বিশাল একটা জায়গা। এখানেও অনেক সুন্দর সুন্দর দেশ বানানো যাবে। অর্থাৎ ধরে নিন, আপনার এই নতুন পৃথিবীতে অনেক অনেক ফাঁকা জায়গা পড়ে আছে। আমরা যেমন এক এক জায়গা এক এক নামে চিনে রাখি- সেখানে কি আছে, কে থাকে এটা মনে রাখার জন্য; ঠিক তেমনি আমাদের কম্পিউটারের মেমোরিতেও এরকম অনেক অনেক জায়গা আছে। আর আমরা সেখানেও প্রতিটা জায়গার ভিন্ন ভিন্ন নাম দেই। কারণ কোন জায়গায় কি আছে বা কোন জাগায় কি রাখলাম সেটা যেন ভুলে না যাই এবং অন্য জায়গার সাথে যেন গরমিল না লেগে যায়। মেমোরির এই সমস্ত জায়গাগুলোর নামকে আমি ডাকছি Variable

এই Variable (মেমোরিতে জায়গার নাম) যে কোনো কিছুই হতে পারে। আর একটু অন্য ভাবে বুঝাতে চাইলে আমি বলতে পারি- এটা অনেকটা খালি টেবিলে একটি গ্লাস রাখার মতন। হতে পারে আপনি গ্লাসটি টেবিলের মাঝে রেখেছেন অথবা টেবিলের কোনায় রেখেছেন, তবে যেখানেই রাখুন না কেন ওই জায়গাতে শুধুমাত্র সেই গ্লাসটি-ই আছে। আপনি চাইলে গ্লাসটিকে সরিয়ে অন্য জায়গাতেও রাখতে পারেন। তখন কিন্তু এটি আর আগের জায়গায় থাকলো না, আপনার রাখা নতুন জায়গায় থাকবে, তাই নয় কি?

এখানে গ্লাসটি হলো একটি ভ্যারিয়েবল আর টেবিলটিকে ধরে নিতে পারেন কম্পিউটারের মেমোরি। আপনি চাইলে এখন এই গ্লাসের পাশে একটি বোতলও রেখে দিতে পারেন। সেক্ষেত্রে বোতলও একটি ভেরিয়েবল হয়ে যাবে। আপনি কিন্তু বোতল বা গ্লাসটি টেবিলের যেকোনো জায়গাতেই রাখতে পারছেন। কোন সুনির্দিষ্ট জায়গায় রাখতে হবে এমন কোন ধরাবাধা নিয়ম নেই। যখন যেখানে ইচ্ছা সেখানে রাখছেন। তেমনি ভাবে প্রোগ্রামিং করার সময় আমরা যখন একটি ভ্যারিয়েবল নেই, তখন সেটি কম্পিউটারের মেমোরিতে এরকম যে কোন একটি জায়গায় অবস্থান করে। আর ওই ভেরিয়েবলটি মেমোরির সেই জায়গাকে রিপ্রেজেন্ট করে। যেমন ধরুন, টেবিলের ডান পাশের কোণায় আপনি যদি গ্লাসটি রাখেন, তখন টেবিলের ওই জায়গাটি উল্লেখ করতে ‘গ্লাসটি যেখানে আছে’ এটি বললেই হয়ে যাবে। ‘টেবিলের ডান পাশের কোণায় গ্লাসটি আছে’ -এভাবে আর বলতে হবে না। অর্থাৎ এই গ্লাসটির অবস্থান দ্বারাই আমরা টেবিলের একটি সুনির্দিষ্ট জায়গাকে তুলে ধরছি। আলাদা করে আর বলতে হচ্ছে না। একইভাবে প্রোগ্রামিংয়ে, মেমোরিতে যে কোন ভেরিয়েবলের অবস্থান বা জায়গা খুঁজে পেতে তার নামই যথেষ্ঠ। এই জিনিসগুলো যখন আমরা প্র্যাকটিক্যালি প্রোগ্রামিং করার সময় দেখব তখন ব্যাপারটি আরো অনেক বেশি সহজ মনে হবে। শুধুমাত্র ভেতরের জিনিসগুলো কিভাবে হচ্ছে সেটি ক্লিয়ার করার জন্য আপনাদের এভাবে উদাহরণ দিয়ে বুঝালাম।

অতএব আমরা বুঝলাম- Variable মেমোরির random কোনো একটি জায়গায় থাকে, যার নাম যেকোনো কিছুই হতে পারে ( গ্লাস, বোতল, খাতা, কলম, x, y, z, বাংলাদেশ, আমেরিকা, আপনার নাম, হাতি, ঘোড়া, বা যা ইচ্ছা)। সেখানে আপনি যেকোনো জিনিসই রাখতে পারবেন। আর আপনার রাখা এই জিনিসটিকেই আমরা প্রোগ্রামিং ভাষায় বলব Value অথবা কোনো input। যেমন উপরের উদাহরণটিতে আপনি চাইলে গ্লাসের মধ্যে যেকোনো কিছু রাখতে পারেন আবার বোতলের মধ্যেও যেকোনো কিছু রাখতে পারেন। এই গ্লাস বা বোতলের ভেতর রাখা যেকোন জিনিসটাকেই আমি ওই ভেরিয়েবলের ভ্যালু(Value) বলছি।

মেমোরিতে যেভাবে ভেরিয়াবল এবং ভ্যালু থাকে

অর্থাৎ প্রত্যেকটি Variable-ই একটা বক্স বা container এর মতো কাজ করে। তাই প্রত্যেকটি Variable-ই কোনো কিছু contain বা ধারন করতে পারে। সেটাকেই ওই Variable এর Value বলে। যেমন এই অধ্যায়ের একদম প্রথম প্রোগ্রামটিতে x ছিল একটি ভ্যারিয়েবল এবং 4 ছিল এই ভেরিয়েবলটির ভ্যালু। প্রোগ্রামটি রান করানোর সময় ব্যাপারটি এমন হয়েছে যে- আমরা কম্পিউটারের মেমোরির ভেতর বিশাল বিশাল জায়গার মধ্য থেকে একটি ছোট্ট জায়গা বেছে নিয়েছি, যার নাম দিয়েছি x এবং তাতে রেখে দিয়েছি 4 সংখ্যাটি। এইতো প্রোগ্রামিংয়ের খুব চমৎকার একটা বিষয় শিখে গেছেন।

কিভাবে ভ্যারিয়েবলের ভ্যালু পরিবর্তন করা যায়?

আপনি চাইলে যেকোনো সময় ভ্যারিয়েবল এ থাকা ভ্যালুটি পরিবর্তনও করতে পারেন। কিভাবে করবেন সেটি জানার জন্যে নিচের কোডটি দেখুন। তারপরে আমি ব্যাখ্যা করছি।

নিচের ছবিতে আউটপুটটি দেখতে পারবেন।

ভেরিয়েবলের মান পরিবর্তন করা হল

আমাদের ব্লগের প্রথম কোডটি আর এই কোডটি কিন্তু একদমই সেম, পার্থক্য শুধু এখানে ৫ম লাইনের নিচে একটি অতিরিক্ত লাইন লেখা হয়েছে। সেটি হল- x = 5; । এই লাইন অব্দি এটাই বুঝানো হয়েছে যে, x এর মান প্রথমে 4 এবং পরবর্তীতে তা পরিবর্তন করে 5 করে দেওয়া হয়েছে। তাই x এর মান প্রিন্ট করানোর সময় আমরা আউটপুট হিসেবে 5 দেখতে পাচ্ছি।

ব্যাপারটি অনেকটা একটি বক্সে কেবলমাত্র একটি জিনিস রাখার মত। ধরে নিন, আপনার কাছে একটি বক্স রয়েছে। তার নাম হলো x। এই বক্সের ভেতর আপনি সব সময় কেবলমাত্র একটি সংখ্যা রাখতে পারবেন। প্রথমে 4 সংখ্যাটি রাখলেন এবং পরবর্তীতে সংখ্যাটি পরিবর্তন করে 5 রেখে দিলেন। এখন আপনি যখন বক্সের ভেতর দেখতে যাবেন তখন অবশ্যই 5 সংখ্যাটি পাবেন। সেজন্যেই আমাদের আউটপুট এসেছে 5

ঠিক একই রকম ভাবে আপনি যেকোনো ভেরিয়েবলের ভ্যালু পরিবর্তন করে দিতে পারেন। এবার চলুন আর একটু শিখি। নিচের প্রোগ্রামটি লক্ষ করুন।

এখানে number1 এবং number2 হল দুটি ভ্যারিয়েবল এবং 30 40 হল তাদের ভ্যালু। ভেরিয়েবল দুটির শুরুতে int লেখা হয়েছে। এটি হল ভেরিয়েবল দুইটির টাইপ (type)। এর মানে হলো- এখানে int লিখে আমরা কম্পাইলারকে বলে দিচ্ছি যে, আমাদের ভ্যালুটি হলো একটি integer বা পূর্ণ সংখ্যা। যেমনঃ 30 এবং 40 হল একটি পূর্ণ সংখ্যা।

Datatype, Variable name, and Value

এইবার চাইলে নিচের ভিডিওটি দেখতে পারেন। এখানে কি বলা হচ্ছে তা একটু বোঝার চেষ্টা করুন। ভেরিয়েবল নিয়ে আরো ডিটেইলস জানতে পারবেন।

ডেটা টাইপ (Data Types)

এবার চলুন variable-এর কিছু প্রকারভেদ নিয়ে জানা যাক। আসলে সি প্রোগ্রামিংয়ে variable-গুলো অনেক রকমের হয়ে থাকে। একটা ভেরিয়েবল যে সকল ভ্যালু বা ডেটা স্টোর করে, তাদের উপর ভিত্তি করে variable-গুলোকে কিছু প্রকারভেদে ভাগ করা হয়েছে। এই প্রকারভেদ গুলোকেই আমরা বলছি datatypes। অর্থাৎ, data-গুলো যত রকম type-এর হতে পারে। নিচে কিছু বেসিক ডেটা টাইপ বর্ণনা করা হলোঃ

  • int : (integer, a whole number) । অর্থাৎ int হলো সকল পূর্ণ সংখ্যার জন্য। যেমনঃ 1, 2, 0, 100, -31, -17, -100, ইত্যাদি ।
  • float : (floating-point, a number with a fractional part)। অর্থাৎ float হল সকল ভগ্নাংশ সংখ্যার জন্য। যেমনঃ 4.17, 100.99, -9.4, -0.3456, ইত্যাদি।
  • char : (single character) । অর্থাৎ char হল শুধুমাত্র একটি অক্ষর বা একক কিছুর জন্যে। এই ক্ষেত্রে প্রত্যেকটি ক্যারেক্টার অর্থাৎ char অবশ্যই single quotation ( ' ' ) এর মাঝে লিখতে হবে। যেমনঃ 'a' , 'A' , '1' , '0' , 'X' , ‘+’ , ‘-’ , ‘@’ , ‘&’ , ইত্যাদি। এই char আসলে আপনার কীবোর্ডের যেকোনো লেটার বা সিম্বলও হতে পারে।

সি প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজে এরকম আরো অনেক রকমের datatype রয়েছে। আমরা যখন প্র্যাকটিক্যালি কাজ করব তখন ধীরে ধীরে এ সকল বিষয় আয়ত্ত করে নিব। সরাসরি কাজ করার সময় ডেটা টাইপ গুলোর প্রয়োগ জেনে রাখলে আমাদের বুঝতে সুবিধা হবে, তাই এখন বিস্তারিত আলোচনা না করে এখানে লিংক দিয়ে দিচ্ছি। আপনাদের কারো যদি এই মুহুর্তেই datatype নিয়ে বিশদ জানার ইচ্ছা থাকে তবে এক নজর দেখে আসতে পারেন।

এবার চলুন উপরের ডেটাটাইপ গুলো ব্যবহার করে অল্প একটু কোড করি।

উপরের ছবিতে আমাদের number1 এর ভ্যালু হচ্ছে 20 এবং number2 এর ভ্যালু হচ্ছে 20.5 20 একটি পূর্ণ-সংখ্যা (integer), সেজন্যই তার type হচ্ছে int

20.5 হচ্ছে একটি ডেসিম্যাল (decimal) সংখ্যা বা ভগ্নাংশ, তাই তার type হচ্ছে float

তেমনি ভাবে ‘A’ হচ্ছে একটি ইংরেজি লেটার বা ক্যারেক্টার(character)। তাই তাকে লিখার জন্য তার type দিতে হবে char । অবশ্যই মনে রাখতে হবে- আমরা যখন কোন char ইউজ করব, তার ভ্যালুটি অবশ্যই সিঙ্গেল কোটেশন(‘’) এর ভেতর রাখতে হবে। আর এর ভেতর শুধুমাত্র একটি অক্ষরই লিখতে হবে। এই সিঙ্গেল কোটেশন এর ভিতর যে জিনিসটাই লেখা হবে তাকেই আমরা char বা character বলে থাকি। যদি আমরা একই সাথে একাধিক অক্ষর বা letter লিখতে চাই, সেক্ষেত্রে আমাদের string ব্যবহার করতে হবে। এটা নিয়ে আমরা পরবর্তীতে ভালভাবে আলোচনা করব। আপাতত এইটুকু জেনে রাখলেই চলবে।

আচ্ছা ধরুন, যদি আমরা একই সাথে সেম ডেটাটাইপের একাধিক ভ্যারিয়েবল লিখতে চাই, তবে কি নিচের কোডের মতো পুরো লাইনটি বারবার লিখব? নাকি কোন শর্টকাট নিয়ম আছে?

মনে মনে যা ভাবছেন তাই, আপনি ঠিক ধরেছেন। শর্টকাট নিয়ম একটি আছে বটে! সেজন্যে নিচের কোডিংটির দিকে তাকান।

একই সাথে সেম টাইপের অনেকগুলো ভ্যারিয়েবল ডিক্লেয়ার করার জন্য, একবার ডেটা টাইপটা লিখার পর, কমা(,) দিয়ে দিয়ে বাকি সবগুলো ভ্যারিয়েবল ডিক্লেয়ার করে দিলেই হবে। এবং বরাবরের মতোই সবশেষে একটি সেমিকোলন দিয়ে লাইনটি শেষ করে দিতে হবে।

অনুরূপভাবে, আমরা যখন ভ্যারিয়েবলে ভ্যালু অ্যাড করবো, তখন শুধুমাত্র সমান = চিহ্ন দিয়ে ভ্যালু লিখে দিলেই হবে। আর এই = চিহ্ন দিয়ে ভ্যালু অ্যাড করাটাকে বলা হয় কোন কিছু অ্যাসাইন (Assign) করা। নিম্নের দু’রকম পদ্ধতিতেই আপনি ভ্যালু অ্যাসাইন করতে পারবেন।

অথবা,

এখন আপনি উপরের দেখানো নিয়ম অনুসরণ করে যেকোনো ভ্যারিয়েবল ডিক্লেয়ার করতে পারবেন এবং ভ্যালু অ্যাসাইন করতে পারবেন। শুধুমাত্র আপনাকে লক্ষ্য রাখতে হবে যে, ভেরিয়েবলের ভ্যালুটির জন্য তার type-টা সঠিক আছে কিনা।

এবার নিচের ভিডিওগুলো দেখলেই আপনারা সবকিছু বুঝতে পারবেন। এই ভিডিওগুলোতে ডেটাটাইপ নিয়ে সার্বিকভাবে আলোচনা করা হয়েছে যা ডেটাটাইপের একটি কমপ্লিট গাইডলাইন। সুতরাং, মনোযোগ দিয়ে বোঝার চেষ্টা করুন।

ডেটাটাইপ ভিডিও টিউটোরিয়াল — ১ 👇

ডেটাটাইপ ভিডিও টিউটোরিয়াল — ২ 👇

ডেটাটাইপ ভিডিও টিউটোরিয়াল — ৩ 👇

ডেটাটাইপ ভিডিও টিউটোরিয়াল — ৪ 👇

আশা করি ভ্যারিয়েবল এবং ডেটাটাইপ নিয়ে বৃত্তান্ত সব বুঝতে পেরেছেন। যদি একটু কঠিন মনে হয় কোনো জিনিস, হতাশ হয়ে যাবেন না। প্র্যাকটিস করতে থাকুন। দুই দিন পর সব কিছু পানি ভাত হয়ে যাবে। প্র্যাকটিস না করলে আজকে যেমন আছেন দুইদিন পর তেমন-ই থাকবেন। সুতরাং পুরোটাই আপনার উপর। এবার চলুন ভেরিয়েবলের নামকরণ নিয়ে কিছু নিয়ম জানা যাক।

ভেরিয়েবল নামকরণ (Variable Declaration)

Photo by Clément Hélardot on Unsplash

ভেরিয়েবলের নাম আমরা যা ইচ্ছা তাই দিতে পারি, তবে তার জন্য অল্প কিছু নিয়ম-কানুন রয়েছে। একদম খেয়াল খুশিমত নাম দেওয়া যাবে না। নিয়মগুলো হলো-

  1. যেকোনো ভেরিয়েবল লেখার ক্ষেত্রে অবশ্যই শুধুমাত্র ইংরেজি বড় হাতের বা ছোট হাতের অক্ষর, কোন সংখ্যা অথবা Underscore( _ ) ব্যবহার করতে হবে। যেমনঃ A, x, FirstName, number5, ID_no ইত্যাদি।
  2. ভেরিয়েবলের নামের মাঝে কোনো ফাঁকা জায়গা রাখা যাবে না অর্থাৎ কোন স্পেস দেওয়া যাবে না। যেমনঃ First Name, ID no লিখা যাবে না, এটি ভুল। লিখতে হবে এভাবে- FirstName, ID_no ইত্যাদি।
  3. ভেরিয়েবলের প্রথম অক্ষর বা লেটারটি কোন নাম্বার হওয়া যাবে না। অর্থাৎ ভেরিয়েবলটি শুরু করতে হবে কোন ইংরেজি অক্ষর দিয়ে অথবা Underscore( _ ) দিয়ে। যেমনঃ 5number লিখতে পারবেন না, এটি ভুল। চাইলে লিখতে পারেন number5 অথবা _5number অথবা fiveNumber।
  4. কোনভাবেই ভেরিয়েবলের নামের মাঝে কোন ধরনের স্পেশাল সিম্বল ইউজ করা যাবে না (শুধুমাত্র Underscore(_) ছাড়া) । যেমনঃ book&pen লিখতে পারবেন না, এটি ভুল। চাইলে লিখতে পারেন book_pen অথবা bookPen অথবা bookAndPen।
  5. ভেরিয়েবলের নাম কোন কিওয়ার্ড বা কোন ডেটা টাইপ হওয়া যাবে না। যেমনঃ int, float, main, printf এগুলো লিখা যাবে না, এটি ভুল। চাইলে লিখতে পারেন Int, Float, Main, Printf ইত্যাদি।
  6. ভেরিয়েবলের নাম হওয়া উচিত খুবই স্পষ্ট, যেন যে কেউ দেখে বুঝতে পারে আমাদের ভেরিয়েবলটি কি ধরনের ভ্যালু স্টোর করে রাখছে। যেমনঃ fn এর পরিবর্তে first_name অথবা firstName লেখাই ভাল।

গুরুত্বপূর্ণ টিপস: এই অধ্যায় থেকে আপনি যা যা শিখলেন সবকিছুই আপনার নিজেকে অনুশীলন করতে হবে। নিজে কোডিং না করলে কখনোই শিখতে পারবেন না। কোডিং করতে যেয়ে ঠিক মতো run করাতে না পারলে, হাল ছেড়ে দেওয়া যাবে না। লেগে থাকতে হবে যতক্ষন না পর্যন্ত সমস্যাগুলা ক্লিয়ার হচ্ছে। এবং আপনি যা শিখলেন তা অন্যকেও শিখাতে চেষ্টা করুন। এতে করে বিষয়টির উপর আপনার দক্ষতা চলে আসবে।

গুরুত্বপূর্ণ লিংক:

  1. সহজ ভাষায় অ্যালগোরিদম — বই
  2. পূর্বের ব্লগ: Compiler vs IDE | সি কম্পাইলার ইন্টলেশন এবং প্রথম প্রোগ্রাম
  3. পরবর্তী ব্লগ: Input-Output নিয়ে যত কথা | Escape Sequence, Comment Out

--

--