স্বদেশ প্রেম — রচনা : [ ২০ পয়েন্ট ]

Sikkhagar
2 min readFeb 9, 2024

--

উপস্থাপনা :-

স্বদেশপ্রেম মানুষের মহৎ গুণাবলির অন্যতম। একজন ব্যক্তি যে দেশে জন্মগ্রহণ করেছে, যে দেশের মাটি, আলো, বাতাসে তার জীবন বিকশিত হয়েছে সেটাই তার স্বদেশ। স্বদেশের প্রতি প্রেম-ভালোবাসা থাকা খুবই স্বাভাবিক। জীবনে সফলতার জন্য, দেশ ও জাতির কল্যাণের জন্য স্বদেশপ্রেমের বৈশিষ্ট্যকে প্রাধান্য দিতে হবে। এজন্য স্বদেশপ্রেমের প্রতি সদা-সর্বদা সচেতন হতে হবে। মাতৃভূমির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা প্রকাশ করতে গিয়ে কবি বলেছেন,

“ও আমার দেশের মাটি

তোমার পরে ঠেকাই মাথা।’

স্বদেশপ্রেম কী :-

নিজ দেশ ও জাতি এবং মাতৃভাষার প্রতি তীব্র আকর্ষণ ও আনুগত্যকেই দেশপ্রেম বলে। সহজ কথায় স্বদেশপ্রেম হচ্ছে নিজের দেশকে ভালোবাসা । লোকে বিদেশে গেলে আজন্মের স্মৃতিঘেরা জন্মস্থানের জন্য তার মন কাঁদে। বিদেশে দীর্ঘদিন থাকতে হলেও জন্মভূমির টান কাটাতে পারে না। স্বদেশের প্রতিটি জিনিস তার কাছে পরম মমতার বলে মনে হয় ।

স্বদেশপ্রেমের স্বরূপ :-

মানুষ পৃথিবীর অধিবাসী হলেও নির্দিষ্ট ভূখণ্ডের মধ্যে তার জীবন আবর্তিত হয়। তার পরিচয় হয় একটি বিশেষ দেশের অধিবাসী হিসেবে। এই দেশই তার মাতৃভূমি, তার জন্মভূমি, তার স্বদেশ। এই স্বদেশের প্রতি আন্তরিক ভালোবাসাই হলো স্বদেশপ্রেম। মানুষ তার মাতৃভূমির বুকে জন্মগ্রহণ করে এর ভালোবাসার উত্তাপে জীবনকে বিকশিত করে।

মাটির সঙ্গে মানুষের প্রাণের সংযোগ ঘটে শিশুকাল থেকেই। দেশের মাটি তাকে আশ্রয় দেয়, তার ফসল, আলো, বাতাস দিয়ে তার দেহের পুষ্টিসাধন করে। এর ফলে তার মনে মাতৃভূমির প্রতি প্রবল মমত্ববোধ জাগ্রত হয়। এই মমত্ববোধই স্বদেশপ্রেম।

স্বদেশপ্রেমের বৈশিষ্ট্য :-

স্বদেশপ্রেম মানবচরিত্রের এক স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য। স্বাধীনতা রক্ষার জন্য যুদ্ধে অংশগ্রহণ যেমন দেশপ্রেমের পরিচয় বহু করে, তেমনি সাহিত্য, শিল্পকলা বা অন্যান্য জাতীয় স্বার্থের ক্ষেত্রে কাজ করাও দেশপ্রেমের লক্ষণ। তাই প্রত্যেকের কাজ হবে যার যার ক্ষেত্রে দেশের কল্যাণের কথা চিন্তা করে দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পাদন করা — যাতে স্বদেশের সবরকম উন্নতি সাধিত হয়। দেশপ্রেম নিজের দেশকে জানতে শেখায়, ভালোবাসতে শেখায়। স্বদেশপ্রেমের মাধ্যমেই বিশ্বপ্রেমে এগিয়ে যাওয়া যায়। ফলে মানবতার মহান আদর্শের সম্প্রসারণ ঘটে।

আরও পড়ুন

--

--