পুকুরে আটলান্টিকের টারপোন নিয়ে ধারণামূলক ও অনিশ্চিত সংবাদ উপসংহারমূলক শিরোনামে প্রকাশ
দেশের দক্ষিণাঞ্চলীয় জেলা পিরোজপুরে গত ২২ ই মে একটি খবর লোকাল কমিউনিটিতে বেশ আলোচনা তৈরি করেছে।খবরটির শিরোনাম ছিল পিরোজপুরে পুকুরে আটলান্টিক মহাসাগরের ‘টারপোন’ মাছ।
এসংক্রান্ত সময় নিউজের খবরটি পড়ুন
এসংক্রান্ত বাংলানিউজের খবরটি পড়ুন
অধিকার.নিউজ এর খবরটি পড়ুন
আজকের দর্পন এর খবরটি পড়ুন
সময় নিউজের আর্কাইভ, বাংলানিউজের আর্কাইভ , অধিকার.নিউজ এর আর্কাইভ ,আজকের দর্পন এর আর্কাইভ
তিনটি সংবাদমাধ্যমেই একই লেখা অর্থাৎ একে অন্যের অনুলিপি এবং কেউই বিন্দুমাত্র সম্পাদনা করেনি।সবগুলো শিরোনামেই এভাবে লেখা হয়েছে যেন বিষয়টি নিশ্চিত।অর্থাৎ আটলান্টিক মহাসাগরের টারপোন মাছই পাওয়া গেছে।যদিও এই সংবাদটির সাথে সংশ্লিষ্ট কেউ-ই (প্রত্যক্ষদর্শী,সংবাদ সংগ্রাহক ও সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশেষজ্ঞ) মাছটি যে টারপোন মাছ তা নিশ্চিত করে বলেনি বা বলতে পারেনি।যা বিস্তারিত অংশ পড়লে পাওয়া যায়।
উপরের ছবিতে দেখা যাচ্ছে যে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশেষজ্ঞ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ও জেলা মৎস্য কর্মকর্তাও (ডিএফও) বিষয়টি নিশ্চিত করেননি।(কেননা তারা নিউজ সাবজেক্ট পরিদর্শন করেননি )
আর পুকুরের মালিক মাছের ছবি ইন্টারনেটে সার্চ করে এটি টারপোন মাছ বলে ধারণা করেন ।এটাই সংবাদটির একমাত্র সূত্র যা মালিকের ধারণার বরাতে লেখা হয়েছে।অর্থাৎ যার বরাতে সংবাদটি লেখা হয়েছে তিনি নিজেও নিশ্চিত নন।তাই শিরোনামে যদি ধারণা করার বিষয়টি অনুল্লিখিত থাকে তবে সাধারণ পাঠকদের মধ্যে বিভ্রান্তি হওয়ার আশংকা থেকেই যায়।
শিরোনামটি হয়ত এভাবে হতে পারতো “পিরোজপুরে পুকুরে আটলান্টিক মহাসাগরের ‘টারপোন’ মাছ ; দাবি মালিকের”।অথবা মালিকের দাবি বা ধারণা করার বিষয়টি উল্লেখ করে প্রচলিত পদ্ধতিতে যে কোনোভাবেই শিরোনাম হতে পারতো।
যদি মাছটি সত্যিকার আটলান্টিক মহাসাগরের ‘টারপোন’ মাছ হয়েও থাকে তবুও যেহেতু সংবাদের ভেতরে গ্রহণযোগ্য কোন সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারেনি সেহেতু মালিকের দাবি বা ধারণা করার বিষয়টি উল্লেখ থাকা বাঞ্ছনীয়।