মনিটরে রাখুন চাকার প্রেশারও

Khalid Anower
Finder GPS Tracking
3 min readNov 23, 2019

গাড়ির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ হলো এর চাকা। আপনার গাড়ির মাইলেজ কেমন হবে তা অনেকটাই নির্ভর করে চাকার উপর। চাকার হাওয়া কমে স্ফীত হয়ে গেলে অনেক ক্ষেত্রে চালানোর সময় চাকা ব্লাস্ট হয়ে যেতে পারে। এমনকি ব্রেক ফেল হয়ে গাড়িটি দূর্ঘটনার সম্মূখীনও হতে পারে। তাই গাড়ির অন্যান্য পার্সের মতই চাকারও যত্ন নেয়া উচিত। সে জন্য চাকায় পর্যাপ্ত পরিমান হাওয়া আছে কিনা তা প্রতিনিয়ত মনিটর করা খুব জরুরি।

নির্ধারিত পরিমান প্রেশার মেইন্টেন না করলে গাড়ি কন্ট্রোলিং এর ক্ষেত্রে সমস্যার সম্মূখীন হতে হয়। যেটা আপনাকে আরাম দায়ক ড্রাইভিং থেকে বঞ্চিত করবে। টায়ারে সঠিক পরিমান প্রেশার থাকলে গাড়ি ব্রেক করার সাথে সাথেই সেটা কাজ করে অন্যথায় একটু দূরে যেয়ে ব্রেক হয়, যেটা দূর্ঘটনার কারণ হতে পারে।

গাড়ি চালানোর ক্ষেত্রে চাকায় একটি নির্দিষ্ট পরিমান হাওয়া থাকা উচিত। চাকায় কম হাওয়া থাকলে স্বাভাবিকের তুলনায় ফুয়েল বেশী খরচ হয়।

এতক্ষনে হয়ত বুঝতে পারছেন চাকার সঠিক মনিটরিং কেনো দরকার। উপরের সকল সমস্যার সমাধান সম্ভব যদি কিনা আপনি আপনার গাড়ির চাকার প্রেশার প্রতিনিয়ত মনিটরিং করেন। কিন্তু সাধারণ চোখে চাকার হাওয়া খুব কমে যাওয়া বা বেড়ে যাওয়া ছাড়া চাকার অবস্থা নির্ণয় করা কঠিন। তবে এই কঠিন কাজটি আপনি খুব সহজেই করতে পারেন ফাইন্ডারের টায়ার প্রেশার মনিটরিং ডিভাইস ব্যবহার করে।

একটি ছোট্ট ডিভাইস টায়ারের মুখে লাগানো থাকে। ডিভাইসটি চাকার প্রেশার ডিটেক্ট করে এবং চাকায় কি পরিমান হাওয়া আছে সেটা আপনি ফাইন্ডার অ্যাপ বা ওয়েবের মাধ্যমে দেখতে পারবেন।

এখানে আমরা একটি গাড়ির চারটি চাকার অবস্থা দেখতে পাচ্ছি। সামনের বাদিকের চাকায় টায়ার প্রেশার ৩১ পি.এস.আই (পাউন্ডস পার স্কয়ার ইঞ্চি )। চাকাটিতে পর্যাপ্ত পরিমানে হাওয়া আছে তাই সেটার নিচে স্ট্যাটাস দেখাচ্ছে “নরমাল”। এখানে একইসাথে সেন্সরের ভোল্টেজ এবং টায়ারের তাপমাত্রা দেখা যাবে।

এভাবে ডানদিকের সামনের এবং পিছনের চাকাতেও নির্ধারিত পরিমান হাওয়া থাকায় স্ট্যাটাস “নরমাল” দেখাচ্ছে। কিন্তু বাদিকের পেছনের চাকার ক্ষেত্রে স্ট্যাটাস দেখাচ্ছে “লো-প্রেশার”। এর মানে এই চাকাটিতে নির্ধারিত পরিমানের থেকে কম হাওয়া আছে। এই চাকাটিতে আরো হাওয়া প্রয়োজন। আবার চাকায় প্রয়োজনের তুলনায় বেশী হাওয়া থাকলে স্ট্যাটাস দেখাবে “হাই প্রেশার”। এভাবে আপনি আপনার গাড়ির চাকার প্রেশার খুব সহজেই চেক করতে পারবেন কোন ঝামেলা ছাড়াই।

ডিভাইসটি গাড়িতে ইন্সটল করা খুব সহজ। এটি একটি প্লাগ এন্ড প্লে ডিভাইস। যেটা শুধু গাড়ির ড্যাশবোর্ডের সাথে কানেক্ট করে দিলেই কাজ করে। যারা তার কাটাকাটি করা ব্যতীত গাড়িতে ট্র্যাকিং ডিভাইস ইন্সটল করতে চাচ্ছেন তাদের জন্য এই ডীভাইসটি খুবই উপযুক্ত একটি ডিভাইস।

ডিভাইসটির আরো একটি বিশেষত্ব হলো, ডিভাইসটিতে থ্রী-জী নেটওয়ার্ক সাপোর্ট করে। এটিই বাংলাদেশের প্রথম থ্রী-জী সাপোর্টকারী ডীভাইস। নেটওয়ার্ক গেইন উন্নতমানের হওয়ায় সার্ভারে দ্রুত ডাটা প্রেরণে সক্ষম। ফলে গাড়ির লোকেশন পুঙ্খানোভাবে পাওয়া সম্ভব।

অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, এই একই ডিভাইসগুলোই আমাদের অস্ট্রেলিয়ার গ্রাহকগণ ব্যবহার করছেন। ডিভাইসটির গুণগতমানের দিক দিয়ে সেরা হওয়ায় দেশের গণ্ডী পেরিয়ে আমরা অস্ট্রেলিয়ায় গ্রাহকদের সেবা দিতে পারছি।

উপরের ছবিটিতে অস্ট্রেলিয়ায় একজন গ্রাহকের গাড়ির একদিনের রুট দেখানো হয়েছে। এখানে দেখা যাচ্ছে গাড়িটি সাউথ ওয়েস্ট্রার্ন মোটরওয়ে রোড দিয়ে ৮০ কিলোমিটারের বেশী বেগে চলেছে। ডিভাইসটির ডাটা ট্রান্সমিশন ক্ষমতা উন্নতমানের হওয়ায় কন্টিনিউয়াসলি ডাটা প্রেরণ করেছে । নেটওয়ার্ক ধারন ক্ষমতা ভালো হওয়ায় ডাটা গ্যাপ নেই বললেই চলে।

--

--