পুরান ঢাকায় মুখরোচক ইফতার

Farzana Yasmin Priya
Harriken Tales
Published in
8 min readJun 7, 2018

ঢাকার বয়স এখন ৪০০ বছরের বেশি এবং সেই সাথে ঢাকার ইফতারির ইতিহাসটাও চার শতাব্দীর। সেই আদিকালে ইফতার করাকে বলা হতো ‘রোজা খোলাই’। এখনো পুরান ঢাকার অনেক এলাকায় রোজা খোলাই শব্দটির প্রচলন রয়েছে। রোজা খোলাই শব্দটির অর্থ সবার কাছে নতুন মনে হতে পারে, কিন্তু রমজান মাসে পুরান ঢাকার আদি বাসিন্দারা এই শব্দটির ব্যবহারে অভ্যস্ত ছিল এবং কিছু কিছু এলাকায় এখনো শব্দটির প্রচলন আছে। রোজা খোলাইয়ের অর্থ ইফতার করা। মাগরিবের আজানের সঙ্গে সঙ্গে রোজা খোলাই শুরু হলেও এর জন্য আয়োজন শুরু হয়ে যায় সাত সকাল থেকে । ইফতারি বানানোর রেওয়াজ যেন পুরান ঢাকার প্রতি ঘরে ঘরে। তারপরও পুরান ঢাকার ইতিহাস বলে, ঢাকাইয়ারা সব সময় বাইরের খাবারের প্রতি আকর্ষণ বোধ করেন বেশি । সে কারণেই পুরান ঢাকায় বাইরের ইফতারির টান সেই আদিকাল থেকেই চলে আসছে।সেই সাথে বেড়ে চলেছে পুরান ঢাকার মজাদার ও মুখরোচক ইফতারের জনপ্রিয়তা । সে ভাবনা থেকেই আমাদের আজকের আয়োজন : পুরান ঢাকায় মুখরোচক ইফতার।

রয়্যাল রেস্টুরেন্ট :

Photo Credit : Tonmoy Ahmed

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় রকমারি ইফতার সামগ্রীর কদর থাকলেও লালবাগ এলাকার রয়েল রেস্টুরেন্টের মানসম্পন্ন ইফতার সামগ্রীতে রয়েছে আলাদা আকর্ষণ। এখানে ইফতারের কদর শুধু ঐতিহ্যগত কারণেই নয়, গুণগতমান, স্বাদ ও সাশ্রয়ী দামও এর চাহিদার একটি বড় কারণ। মানসম্পন্ন রান্না কৌশল এবং উপকরণ ভেদে যেমন রয়েছ আভিজাত্যের ছাপ, তেমনি রয়েছে বাহারি স্বাদ। প্রতিবছরের মতো এবারও রোজায় রয়েল রেস্টুরেন্ট ভিন্ন স্বাদের মজাদার কাশ্মিরী ফিরনি তৈরি করে তুলে দিচ্ছে ক্রেতাদের হাতে। আর পুরান ঢাকার ইফতারির তালিকায় একটু ফিরনি না হলে ইফতারে যেন পূর্ণতাই আসে না। এ কারণে ভারতের কাশ্মির থেকে এই ফিরনির ফরমুলা এনে, বাদাম, দুধ, জাফরান, মালাই, এলাচি, কিসমিস ও কাজু দিয়ে তৈরি মজাদার ফিরনি ভোজনরসিকদের কাছে একটি বিশেষ স্থান দখল করে নিয়েছে।
রমজান উপলক্ষে রয়েল রেস্টুরেন্ট কাশ্মিরী ফিরনি ও শাহী হালিম ছাড়াও প্রায় ৫০টি ইফতার আইটেম সরবরাহ করছে। চিকেন ড্রামস্টিক, চিকেন টিক্কা, জিলাপি ও ঐতিহ্যবাহী পেস্তো বাদামের শরবত; পছন্দের সব আইটেমই রয়েছে তাদের ইফতার তালিকায়।

Photo Credit : Md. Anisuzzaman

রমজানের রকমারি ইফতারিতে এখানে এ সব কিছু খাবারের আয়োজন করা হয়ে থাকে। খাবারের দাম এখানে বেশ কমের মধ্যে। রয়েল রেস্টুরেন্টে ইফতার তালিকায় যেসব আইটেম পাওয়া যায় সেগুলো মধ্যে শাহী জিলাপি, তেহারি, মোরগ পোলাও, কাচ্চি বিরিয়ানি, চিকেন বিরিয়ানি, শিক কাবাব, খিরি কাবাব, টিকিয়া কাবাব, ছোলা, ঘুমনি, কাঁচা বুট, আলুর চপ, বেগুনি, দোপেঁয়াজু, ফুলুরি, সমোচা, পনির সমোচা, শিঙ্গাড়া, নিমকি, ভেজিটেবল রোল, থাই পরোটা, শাহী টুকরা, কিমা চপ, টিকা কাবাব, জিলাপি, লাবাং, কাশ্মিরী শরবত, বোরহানি, মাঠাসহ সবই পাওয়া যায় এখানে। এসব ইফতারের প্রাথমিক তালিকার প্রায় সবই পাওয়া যায় ৫ টাকা থেকে ২শ টাকার মধ্যে। তবে অন্যান্য ইফতার পণ্যের দাম মুরগির কাবাব ছোট ৮০ টাকা, জিলাপি ১৬০ টাকা কেজি, কাশ্মিরী ফিরনি ছোট ১০০ টাকা, শরবত ১১০ টাকা, লাবাং বড় ১৩০ টাকা, সিক কাবাব ৬০ টাকা, কাশ্মিরী পরোটা ৩০ টাকা, হালিম ছোট ১২০ টাকা, রোল ২৫ টাকা, ড্রাম স্টিক ৮০ টাকা, থাই পরাটা ২০০ টাকা, শাহী টুকরা ২০০ টাকা। রোস্ট ৭০ টাকা, চিকেন রেশমি কাবাব ৮০ টাকা, চিকেন উইন ২৫ টাকা, ইসপ্রিং রোল ৩০ টাকা, নার্গিস কোপ্তা ২৫ টাকা, দইবড়া ১৫০ টাকা, সমোচা ১০ টাকা, কিমা পরোটা ২৫ টাকা, টানা পরোটা ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

Photo Credit : Md. Anisuzzaman

রমজানে এ দোকানটি সকাল ১০/১১ টা থেকে বেশ রাত পর্যন্ত খোলা থাকে। ইফতারের জন্য এখানে ২/৩ ঘণ্টা আগে যাওয়া প্রয়োজন । অর্থাৎ ইফতারের ২/৩ ঘণ্টার আগেই এখানে খাবার প্রায় শেষের দিকে চলে আসে। রেস্টুরেন্টটি সকল শ্রেণিপেশার মানুষের জন্য উপযুক্ত। এখানে কর্মচারীদের ব্যবহার বেশ ভাল । এখানে দো তালায় বসার ব্যবস্থা রয়েছে যা বেশ উন্নত। তাই এখানে বসে ইফতার করতে চাইলে দো তালায় বসে ইফতার করতে পারো। মুখরোচক খাবার ও পেস্তো বাদামের চমৎকার শরবতে ইফতারির জন্য এখানকার তুলনা নেই।

রয়েল রেস্টুরেন্ট নিয়ে আরো জানতে ভিজিট করতে পারো আমাদের হারিকেন ওয়েবসাইট থেকে।

চক বাজার :

Source : Youtube

রমজান মাসে চকবাজারে ইফতার কিনতে গেলে যে কথাটি সবচেয়ে বেশি শোনা যায় তা হচ্ছে, ‘বড় বাপের পোলায় খায়, ঠোঙা ভইরা লইয়া যায়।’ রকমারি ইফতার বাজারের একটি জনপ্রিয় আইটেম ‘বড় বাপের পোলায় খায়’। ঐতিহ্যবাহী এই পদটি প্রায় ৭৫ বছরের পুরনো বলে জানা যায়।

Source : Bangla News 24

এটি তৈরিতে ডিম, গরুর মগজ, আলু, ঘি, কাঁচা ও শুকনো মরিচ, গরুর কলিজা, মুরগির মাংসের কুচি, মুরগির গিলা কলিজা, সুতি কাবাব, মাংসের কিমা, চিড়া, ডাবলি, বুটের ডাল, মিষ্টি কুমড়াসহ ১৫ পদের খাবার আইটেম ও ১৬ ধরনের মসলা প্রয়োজন। আর মোট ৩১টি পদের যে মিশ্রণ তৈরি হয়, তার নামই ‘বড় বাপের পোলায় খায়’।একটি বড় গামলায় এই ৩১ ধরনের পদ দুই হাতে ভালোভাবে মাখিয়ে তারপর ঠোঙায় করে বিক্রি করা হয়। এটি কিনতে ছোট-বড় সব বয়সী রোজাদারের মধ্যে রীতিমতো কাড়াকাড়ি লেগে যায়।কেবল এই আইটেমটির জন্য রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ক্রেতারা ছুটে যান চকবাজারে। এখনো পুরান ঢাকার এমন অনেক পরিবার আছে, যাদের এটি ছাড়া ইফতার জমে না, পূর্ণতা পায় না। নতুন ঢাকার বাসিন্দারাও দিন দিন এই খাবারটির প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠছেন।

Source : Daily Sun

চকবাজার এলাকা ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি ‘বড় বাপের পোলায় খায়’ ৪০০- ৪৫০ টাকা, প্রতি কেজি সুতি কাবাব ৪০০ থেকে ৫০০, শাহী জিলাপি ১২০, খাসির হালিম আকার ধরন ভেদে ৫০ থেকে ৩৫০।খাসির রোস্ট ১৮০ থেকে ২২০, কোয়েলের রোস্ট ৬০, খাসির কাবাব ৫০ টাকা এবং দই বড়া ১০০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ডিম চপ ১৫, মুরগি ভাজা ১৮০, মুরগির ফ্রাই ৫০, মাঠা ৫০ টাকা লিটার, লাবাং ৮০ টাকা, চিকেন ছাসনি ২০ থেকে ৩০ টাকা বিক্রি হতে দেখা যায়।

চকবাজারে ব্যাপক বিক্রি হচ্ছে মালপোয়া ও গজা। একটি মালপোয়ার দাম ২০ টাকা ও গজা দুটি ২০ টাকা। এ ছাড়া পাওয়া যাচ্ছে সাধারণ ইফতার সামগ্রীও। তবে উপাদান ও তৈরিতে কিছু ভিন্নতা রয়েছে এখানেও।পাওয়া যাচ্ছে বুটের ডাল ও মাংসের কিমা দিয়ে তৈরি টিক্কা কাবাব, ডিম চপ ১৫ টাকা, দুই টাকার ফুলুরি, আলুর চপ, পিঁয়াজু ও ১২ টাকার সবজি বড়া।

হানিফ বিরিয়ানি :

Photo Credit : Raihanul Islam

মুখরোচক খাবার বিশেষ করে ইফতারের সময়ে মজাদার সব খাবারের সুনাম আজও ধরে রেখেছে পুরান ঢাকা। ট্র্যাডিশনাল খাবারের জন্য ঢাকার বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন দোকান গড়ে উঠলেও পুরান ঢাকার কাচ্চি বিরিয়ানি এখনও অতুলনীয়। এখানে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিরিয়ানির দোকানগুলোতে ভোজন রসিকদের ভিড় লেগেই থাকে। তেমনি একটি বিরিয়ানির দোকান পুরান ঢাকার ৩০ নং কাজী আলাউদ্দিন রোডে অবস্থিত হানিফ বিরিয়ানি হাউস, যা গত তিন যুগ ধরে সুনাম ও ঐতিহ্য ধরে রেখেছে। প্রথম দিকে এখানে পরোটা, ভাজি, ভুনা মাংস, ডাল, সবজি, নেহারি ও চা বিক্রি করা হত । হানিফ বিরিয়ানির সুনাম চারদিকে ছড়িয়ে পড়ার পর দুরদুরান্ত থেকে আসা ভোজনবিলাসী ক্রেতাদের ভিড় জমতে থাকে সেই দোকানে। হানিফ বিরিয়ানির মোট পাঁচটি শাখা আছে।ইফতার কিংবা সেহরি, এ দোকানটি রমজানের যে কোনো সময়ে বেশ জনপ্রিয়।

Photo Credit : Farjana Anwar

হানিফ বিরিয়ানি রান্না হয় খাসির মাংস দিয়ে। রোজার সময়ে ও বর্তমান বাজারদর বিবেচনা করে বিরিয়ানির দামও কিছুটা বেড়েছে। হাফপ্লেট বিরিয়ানির দাম পড়বে ৯০ টাকা, ফুলপ্লেট ১৬০ টাকা, স্পেশাল হানিফ বিরিয়ানির দাম পড়বে ১৮০ টাকা। এ ছাড়া বিরিয়ানির সঙ্গে আছে স্পেশাল শাহী বোরহানি, প্রতি লিটার বোরহানির দাম ১৪০ টাকা এবং হাফ লিটার ৭০ টাকা। প্রতি গ্লাস ৩৫ টাকা। দেশীয় কোল্ড ড্রিঙ্কস তো আছেই সঙ্গে।বাইরের বিভিন্ন বড় বড় প্রোগ্রামেও সাপ্লাই করা হয় হানিফ বিরিয়ানি।এখানকার খাবারের মান বেশ স্বাস্থ্যসম্মত এবং বিরিয়ানিও সুস্বাদু।

Photo Credit : Farjana Anwar

হানিফের আউটলেটগুলো থেকে বাসাবাড়ি বা যে কোনো অনুষ্ঠানের জন্য অর্ডারে খাবার নেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে অনুষ্ঠানের দিন-তারিখের আগে রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে ঠিকঠাক করে রাখতে হবে। মাথাপিছু হিসেবে অর্ডারে খাবার নিলে দামের ক্ষেত্রে কিছুটা ছাড়ের ব্যবস্থা রয়েছে বলেও জানিয়েছে এ প্রতিষ্ঠান।রোজার মাসে হানিফ বিরিয়ানি সকাল ১০/১১ টা থেকে পুরো রাত পর্যন্ত খোলা থাকে।

হানিফ বিরিয়ানি নিয়ে আরো জানতে হলে ঘুরে আসতে পারো আমাদের হারিকেন ওয়েবসাইট থেকে।

বিসমিল্লাহ কাবাব ঘর :

Photo Credit : Anik Petrucci

পুরান ঢাকায় এসে কাবাব খেতে ইচ্ছে করলে ঘুরে আসতে পারো কাজী আলাউদ্দিন রোডের নামকরা কাবাবের দোকান বিসমিল্লাহর কাবাবের দোকান থেকে। গভীর রাত পর্যন্ত খোলা থাকা এ দোকানটি রমজানের সময়েও গভীর রাত পর্যন্ত খোলা থাকে।

Source : Foodiz.com

বিভিন্ন ধরণের কাবাবই এই রেস্তোরাঁর মূল আকর্ষণ। এখানকার সবচেয়ে প্রসিদ্ধ খাবার হল “বটিকাবাব”। মুরগি বা গরুর মাংস ছোট ছোট করে কেটে বিভিন্ন ধরণের মশলা মাখিয়ে এই কাবাবটি তৈরি করা হয়। পরিবেশন করা হয় গরম গরম পরোটা বা নান রুটির সাথে। এছাড়া কাশ্মিরি কাবাব, গুর্দা কাবাব, চাপ, টিক্কা কাবাব, চিকেন টিক্কা ও শিক কাবাব আছে এই রেস্তোরাঁর খাদ্য তালিকায় ।তাদের খাবারের মূল বৈশিষ্ঠ্য হল পেঁয়াজের আধিক্য। খাবারের সাথে পরিবেশন করা হয় দু' ধরনের সালাদ।

Photo Credit : Ibrahim Khan

এখানে চিকেন চাপ প্রতি পিস ৮০ টাকা, গরুর বটি কাবাব ৭০ টাকা, গরুর চাপ ৬০ টাকা, খাসির গুর্দা কাবাব প্রতি হাফ ১১০ টাকা, খাসির তিরি কাবাব হাফ ১০০ টাকা, মগজ ভুনা ১১০ টাকা, মুরগির গিলা-কলিজা ফ্রাই হাফ ৮০ টাকা, টিকিয়া ৫ টাকা, জালি কাবাব প্রতি পিস ১০ টাকা, পরাটা ৫ টাকা ও সালাদ ফ্রি পাওয়া যায়।এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় চিকেন ফ্রাই

বিসমিল্লাহ কাবাব ঘর নিয়ে আরো জানতে হলে ঘুরে আসতে পারো আমাদের হারিকেন ওয়েবসাইট থেকে।

মামুন বিরিয়ানি :

Photo Credit : Shakil Hossain

ইফতারের মেন্যুতে যে খাবার না থাকলেই নয় সেগুলো হল পেঁয়াজু, আলুর চপ, বেগুনি, ছোলা, শরবত ইত্যাদি।এ খাবারগুলোর পাশাপাশি শহরের মানুষ কমবেশি যে খাবারটি রাখেন সেটি হল মুখরোচক বিরিয়ানি। হতে পারে সেটি তেহারি, কাচ্চি বা মোরগ-পোলাও। পুরনো ঢাকার মানুষদের ইফতারির মেন্যুতে তো বটেই এখন নতুন ঢাকার সব এলাকাতেও জনপ্রিয় বিরিয়ানি। ঢাকার বিভিন্ন স্থানে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন বিরিয়ানির দোকান । তবে এটির আসল স্বাদ পেতে হলে যেতে হবে পুরান ঢাকায়।

Photo Credit : Md. Amir Hossain

পুরান ঢাকা মানেই জিভে জল আনা সুস্বাদু সব খাবারদাবার। তবে স্বাদ, গন্ধ ও মানে সবচেয়ে এগিয়ে পুরান ঢাকার বিভিন্ন দোকানের কাচ্চি ও চিকেন বিরিয়ানি; যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি দোকানের নাম : মামুন বিরিয়ানি। রমজান মাসে সকাল থেকে প্রায় মধ্যরাত পর্যন্ত খোলা থাকে এ দোকান। আর রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে বিরিয়ানির স্বাদ নিতে আসা লোকজনের ভিড় জমে ইফতার ও সেহরির সময়। ছুটির দিনে সেই ভিড় বেড়ে যায় আরো বহু গুণে।

Photo Credit : Hasan Nahiyan Nobel

মামুন বিরিয়ানিতে ‘হাফ প্লেট’ পরিমাণ কাচ্চি ও চিকেন বিরিয়ানি ১১০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হয়। ‘ফুল প্লেট’ পরিমাণের দাম ১৬০ থেকে ৩৮০ টাকা পর্যন্ত। বাসমতী চালের খাসির কাচ্চির পাশাপাশি শাহী মোরগ-পোলাও, খাসির স্পেশাল বিরিয়ানি, মোরগ ডিম দিয়ে খিচুরি, ডিম খিচুরি, খাসির রেজালা ও টিকিয়াও মিলবে। এ ছাড়া ডেজার্ট হিসেবে ফিরনি ও বোরহানিও পাওয়া যায়।

মামুন বিরিয়ানি নিয়ে আরো জানতে হলে ঘুরে আসতে পারো আমাদের হারিকেন ওয়েবসাইট থেকে।

--

--