অতীত রোমন্থন বনাম ইতিহাসচর্চা- অসম যুদ্ধের আখ্যান

Itihas Ekhon
ইতিহাস এখন
6 min readApr 15, 2022

কুন্তক চট্টোপাধ্যায়

ইতিহাস বললেই আমজনতার মনে ভেসে ওঠে পুরনো দিনের নানা কথা। কিন্তু ইতিহাস যে নেহাতই ‘পুরানো সেই দিনের কথা’ নয়, এ কথা বোঝে কে? এই বোঝার সমস্যা অবশ্য নতুন নয়। দশকের পর দশক ধরেই ইতিহাসচর্চার বদলে জনসমাজে আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে অতীতের আখ্যান। এবং সেই আখ্যান রচিত হয়েছে কিছু তথ্য এবং কিছু মিথের মিশেলে। যাকে ইতিহাস না বলে অতীত রোমন্থন বলাই শ্রেয়। তা হলে প্রশ্ন উঠতেই পারে, অতীত রোমন্থন এবং ইতিহাসের ফারাক কোথায়?

এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে হলে ইতিহাসকে বোঝা প্রয়োজন। ইতি হ আস- অর্থাৎ অতীতে যেমনটা হয়েছিল। কিন্তু এই যেমন হয়েছিল, সেই কথাটুকুই তুলে ধরা ইতিহাসবিদের কাজ নয়। বরং অধ্যাপক অশীন দাশগুপ্তের কথার সূত্র ধরে বলা চলে, ইতিহাস হল অতীতের পরীক্ষিত তথ্যের আলোকে সমাজবদ্ধ মানুষের জীবনব্যাখ্যা। অর্থাৎ ইতিহাসবিদের আশু কর্তব্যের মধ্যে কোনও ঘটনার পুনর্নির্মাণ যেমন থাকে তেমনই থাকে কার্যকারণ সম্পর্কের সন্ধানও। অর্থাৎ কী হয়েছিল যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনই কেন হয়েছিল সেই অনুসন্ধানও ইতিহাসবিদের কাজ।

এই কেন-র ব্যাখ্যা করতে গিয়েই ইতিহাসচর্চায় ইতিহাসবিদের ভূমিকা গুরুত্ব হয়ে ওঠে। তথ্যকে যুক্তির সাহায্যে সংশ্লিষ্ট ইতিহাসবিদ কোন দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বিচার করছেন সেটা ইতিহাস লিখনের নানা ধারার জন্ম দেয়। যাকে বলা হয় ইতিহাসদর্শন বা হিস্টরিয়োগ্রাফি। ইতিহাসদর্শনের এই নানা ঘরানা জন্ম দেয় নানা বিতর্কের। যে বিতর্ক ইতিহাসচর্চার চালিকাশক্তি। তাই অতীত স্থায়ী হলেও ইতিহাস পরিবর্তনশীল। তথ্য বিশ্লেষণের সাহায্যে ইতিহাসবিদ একটি আপেক্ষিক সত্যে উপনীত হওয়ার চেষ্টা করেন। নতুন তথ্য, নতুন বিশ্লেষণ পদ্ধতি সেই আপেক্ষিত সত্যকে নস্যাৎ করতে পারে, নতুন এক আপেক্ষিক সত্যের জন্ম দিতে পারে।

এই যে নির্মাণ কৌশল, নির্মাণ এবং বিনির্মাণের দ্বন্দ্বে ইতিহাস লিখন এর জন্য প্রশিক্ষণ দরকার। নিষ্ঠাবান ইতিহাসবিদ নিয়মিত অনুশীলনের মাধ্যমে ইতিহাস লিখনের যোগ্যতা অর্জন করে। অতীত রোমন্থনকারীর সে দায় নেই। বহু যুগ আগে খাওয়া গব্য ঘৃতের আঘ্রাণেই তাঁর তৃপ্তি।

এই পর্বে এসে একটি বিশেষ বইয়ের প্রসঙ্গ উত্থাপনের লোভ সামলাতে পারছি না। অধ্যাপক তপন রায়চৌধুরীর একটি বিখ্যাত বইয়ের নাম ‘রোমন্থন অথবা ভীমরতিপ্রাপ্তর পরচরিত চর্চা’। নামটির সঙ্গে রোমন্থন থাকলেও জনপরিসরে সমাজ ইতিহাস লিখনের অদ্ভূত কৌশল অধ্যাপক রায়চৌধুরী দেখিয়েছেন। নিজের জীবনে ঘটে যাওয়া নানা ঘটনাকে আত্মকথনের মতো করে তুলে ধরেছেন তিনি এবং একইসঙ্গে সমকালীন সমাজকে ফুটিয়ে তুলেছেন। লেখক সেখানে সমাজবদ্ধ জীব এবং সেই সমাজবদ্ধ মানুষের আলেখ্য ফুটে উঠেছে সেই বইয়ে। ফলে শিরোনামে রোমন্থন থাকলেও তা আসলে ইতিহাসের আকর। সেই আকরই বলে ইদানীং সোশ্যাল মিডিয়ায় ৪৬-এর কলকাতার দাঙ্গা নিয়ে যা রচনা নিক্ষেপিত তা অনেকাংশেই সারগর্ভহীন এবং বিদ্বেষের পাঁকে ভরপুর।

অধ্যাপক রায়চৌধুরী তাঁর বইয়ে নিজের দেখা একটি ঘটনার বর্ণনায় লিখছেন, “১৬ই অগাস্ট সকালবেলা বীডন স্ট্রিটের মোড়ের একটি দোকান সার্কুলার রোডের বস্তিবাসীরা লুঠ করল। ঘটনাটা দেখলাম। লুঠেরারা সবুজ ঝাণ্ডা নিয়ে এবং শোভাযাত্রা করে এসেছিল ঠিকই, কিন্তু মিষ্টির দোকান লুঠটা কারও রাজনৈতিক কর্মসূচীর অঙ্গ ছিল বলে মনে হয় না। পরে শুনি যে কলকাতা শহরের গণহত্যার প্রথম সূচনা ঐ ঘটনা থেকে। বিকেল নাগাদ খবর পেলাম শহরের নানা জায়গায় খুন-খারাবি-লুঠ-তরাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।…১৬ই অগাস্ট বিকেল পাঁচটা নাগাদ মাণিকতলা বাজারের সামনে একটা হৈ চৈ শুরু হল। হস্টেলের ছাদে দাঁড়িয়ে দেখলাম-ভীড়ের মাঝখানে একটা দশ বার বছরের ছেলে ফলের ঝাঁকা মাথায় দাঁড়িয়ে। মনে হল ভয়ে কাঁপছে। তারপর ভদ্রবেশী কয়েকটি মানুষ তাকে লাঠি দিয়ে পেটাতে শুরু করল।…হিন্দু ধর্মের রক্ষকতা তাদের বীরকৃত্য সেরে হাওয়া। রাস্তায় শুধু রক্তমাখা রোগা একটা ছোট্ট শরীর পড়ে রইল।” প্রত্যক্ষদর্শীর এই বর্ণনাই ইতিহাসের সূত্র যা কোনও সম্প্রদায়কে ছোট না করেও কিছু দুষ্ট লোকের সাম্প্রদায়িক মনোভাবকে সামনে নিয়ে আসে।

তবে এই ধরনের লেখা জনপরিসরে তেমন চর্চা হয় না। কারণ, সেখানে রোমহর্ষক রোমন্থনের কদর বেশি। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই রগরগে গল্প ইতিহাসের আদলে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। ক্রমাগত এই রংচঙে গল্পের বিকাশই জনমানুষের মনে অতীত সম্পর্কে স্থায়ী পট তৈরি করে। যুক্তিনিষ্ঠ কার্যকারণের অনুসন্ধান সেখানে আবছা হয়ে যায়। বিষয়টি আরও সহজবোধ্য ভাবে ব্যাখ্যা করতে হলে সিনেমার উদাহরণ দেওয়াই ভাল।

পাঠক, একবার চোখ বুজে মোগল আমলের কোনও ঘটনার কথা ভাবুন তো! দেখবেন, হয় মুঘল-ই-আজ়ম কিংবা হালফিলের যোধা-আকবরের কথাই মনে আসছে। কয়েক দশকের ব্যবধানে দুটি সিনেমার দৃশ্যে বেশ কিছু মিল আছে। আদতে মোগল বা সুলতানি আমল বললেই ঝলমলে পোশাক, দরবার, প্রাসাদ, দুর্গ, বর্শা, শিরস্ত্রাণ, ঘোড়সওয়ারি। থাকবে দরবারি নৃত্যশিল্পী, কবিয়াল রাজপুত্তুর, রোম্যান্টিক প্রেমের আখ্যান। এগুলিই সেই পটছবি বা টেমপ্লেট। তাই জনপরিসরে রাজারাজড়া মানেই এই সব আখ্যানের প্রতি অমোঘ আকর্ষণ। সেখানে শাসন, অর্থনীতি, সমাজের ছবি গৌণ।

এ সবই আদতে ইতিহাসের বিচ্যুতি। সেই বিচ্যুতিরই আরও ঝলমলে রূপ দেখা গেল নব্বইয়ের দশকে, দূরদর্শনের পর্দায়। দূরদর্শনে রামায়ণ, মহাভারতের সিরিয়াল রূপে আবির্ভাব হল। জানা গেল, প্রাচীন ভারতে বাবাকে পিতাশ্রী, ভাইকে ভ্রাতাশ্রী হিসেবে ডাকা হত। দুর্যোধন হলেন বলিউডি ভিলেনের আদি রূপ এবং যুধিষ্ঠির সাংসারিক সিনেমার চিরকরুণ বড়দা। জনপরিসরে এই সিনেম্যাটিক পরিবেশন মহাকাব্যের মূল আখ্যানকে অনেকটাই ভুলিয়ে দিল। অথচ বন পর্বে উল্লিখিত, খোদ যুধিষ্ঠিরই ভীমকে বলেছেন, “দুর্যোধনের রাজ্য এবং রাজত্ব কেড়ে নেওয়ার বাসনাতেই আমি পাশা খেলতে গিয়েছিলাম।” ধর্মপুত্র যুধিষ্ঠির জানতেন, পাশা খেলা নৈতিক অনুমোদন পায় না। তবু মনের মধ্যে অধার্মিক বাসনাকেই পালন করেছিলেন তিনি। বিদুরের সাবধান বাণীকেও উপেক্ষা করেছিলেন তিনি। সিরিয়ালের নিপুণতায় দর্শকের মন থেকে এই প্রশ্ন উবে একপেশে ধারণাই বলবৎ হল। সিনেমা বা সিরিয়াল গল্পকাহিনী রইল না, জনপরিসরে ইতিহাস হয়ে উঠল!

এই ধারণার বিস্তার যখন চলছে. তত দিনে ভারতে ঘটে গিয়েছে বাবরি মসজ়িদ ধ্বংসের ঘটনা। রাজনীতিতে উগ্র হিন্দুত্ববাদের সগৌরব আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। এই আত্মপ্রকাশ জনমানসে এত দিন লুকিয়ে থাকা সাম্প্রদায়িকতা বিষ ফোড়ার মতো ফুটিয়ে তোলে। অতঃপর, শুরু হয় ইতিহাসচর্চার বদলে অতীতের হিন্দু গৌরব পুনরুদ্ধারের প্রয়াস। এমনকি, ঔপনিবেশিক তত্ত্ব মেনে তথাকথিত এই জাতীয়তাবাদীরা প্রাচীন ভারতকে হিন্দু যুগ বলতেও দু বার ভাবেন না। যদি এই প্রশ্ন ওঠে যে সম্রাট অশোক তো নিজে বৌদ্ধ ছিলেন। তা হলে তিনি কি হিন্দু যুগের নন?

ভারতের মুসলিমদের আগ্রাসন নিয়ে কল্পকাহিনী লিখতে বসলেই গজনীর সুলতান মামুদের সোমনাথ মন্দির ধ্বংসের কথা লেখা হয়। অথচ ত্রয়োদশ শতকে সোমনাথ মন্দির কেমন ছিল তা একটি তৎকালীন পুরালেখ থেকে স্পষ্ট বোঝা সম্ভব। সংস্কৃত এবং আরবি ভাষায় লেখা ওই লেখ থেকে নাখুদা (নৌবিত্তক) নুরুদ্দিন ফিরোজ হরমুজ থেকে সোমনাথে এসেছিলেন এবং সেখানে জমি কিনে একটি মসজ়িদ (মিজিগিতি) নির্মাণ করেন। চৌলুক্য শাসকদের অধীনে থাকা সোমনাথে এক জন মুসলিম বণিক মসজ়িদ নির্মাণের জমি কিনছেন স্থানীয় মহাজনপল্লিতে। শৈব ক্ষেত্রের বাইরে হলেও সেই জমি সোমনাথ মন্দিরের অধীনে ছিল। নুরুদ্দিনের এই মসজ়িদ নির্মাণ যত না আরবি ভাষার বর্ণনা করা হয়েছে তার অনেক বেশি বিস্তারে রয়েছে সংস্কৃত লেখতে। নুরুদ্দিনকে সেই মসজ়িদ নির্মাণে সাহায্য করছেন হিন্দু বণিকেরা। এমনকি, ছাড বা ছাড় নামে এক বণিককে নুরুদ্দিনের ধর্মবান্ধব হিসেবেও উল্লেখ করা হয়েছে। নুরুদ্দিন অবশ্য সোমনাথে স্থায়ী ভাবে বসবাস করেননি। মসজ়িদ নির্মাণ করে তিনি ফিরে গিয়েছেন হরমুজে। কিন্তু মসজ়িদ নির্মাণ এবং সেখানে ধর্মীয় উৎসবের বন্দোবস্ত প্রমাণ করে যে সোমনাথে বহু মুসলিমের আনাগোনা লেগেই থাকত। যে সোমনাথকে কেন্দ্র করে মুসলিম বিদ্বেষের এত রমরমা সেখানে এই সম্প্রীতির ছবি তো উল্টো কথাই তুলে ধরে!

কিন্তু এই চর্চা তো জনপরিসরে খুবই কম। তার বদলে নিরন্তর বিদ্বেষের ছড়াছড়ি। এই রাজনীতি আসলে এক ধরনের অপর নির্মাণ করে লড়ে যেতে চায়। ক্রমাগত ছায়াযুদ্ধ করতে থাকা মানুষ সত্য থেকে ক্রমশ দূরে যেতে থাকবে। এই অপর শুধু ধর্ম নয়, বর্ণের ক্ষেত্রেও তৈরি হয়। কারণ, এই গৌরব রোমন্থনে কখনই প্রাচীন ভারতে থাকা বর্ণজাতি ব্যবস্থার নানা দুরাচার উঠে আসে না। কারণ, যদি ইতিহাসের আকর ঘেঁটে সমাজে উচ্চবর্ণের মানুষের হাতে নিম্নবর্ণের মানুষের পীড়নের কথা ধরা পড়ে তা হলে অনন্ত গৌরবের আখ্যান তো আদৌ টেঁকে না।

নব্বইয়ের দশকে যে আখ্যান টিভিতে উঠে এসেছিল, গত দশকের মাঝামাঝি থেকে তা মানুষের হাতে হাতে পৌঁছে গিয়েছে। ইন্টারনেট, স্মার্ট ফোনের দৌলতে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিরন্তর কল্প-ইতিহাসের উদগীরণ চলেছে। সেই কর্মকাণ্ডের মূল লক্ষ্য ইতিহাস সচেতন করা নয়, বরং লেখার অক্ষরে মানুষকে মৌলবাদের আফিম গেলানো। বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনে সেই সব গল্পগাছার সঙ্গে তথ্যসূত্র কিংবা নানাবিধ বইয়ের একটি তালিকাও দেওয়া হয়। কারণ, ওই ইতিহাসের বিকৃতিকারেরা জানেন, হোয়্যাটসঅ্যাপে বা ফেসবুকে ইতিহাসপাঠরত জনতার ১ শতাংশ ওই বই ঘাঁটতে যাবে না। নানা ভারিক্কি নাম দেখেই তাঁরা ধরে নেবেন, এই তো আসল ইতিহাস লেখা হয়ে গিয়েছে!

এখানেই শিরোনামের তাৎপর্য! এক অসম যুদ্ধ। কারণ, অধিকাংশ ইতিহাসবিদই খেটেখুটে গবেষণাপত্র প্রকাশ করেন। তা প্রকাশিত হয় কোনও বই বা নামী জার্নালে। বিদ্যাচর্চার জগতে তার গুরুত্ব অপরিসীম হলেও জনপরিসরে তা সুলভ নয়। সস্তায় ইতিহাস চর্চার বদলে নৈষ্ঠিক চর্চার অভ্যাসও ক্রমশ কমছে। তাই স্মার্টফোন, সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে গুজব, রটনা দাবানলের আগুনের থেকেও তীব্র বেগে ধাবমান। এর সঙ্গে বর্তমান সময়ে জুড়েছে সরকারি মদত। যেখানে প্রাচীন ভারতের গৌরবগাথা আলেখ্য রচনায় তথ্য বিকৃতি নয়, সরাসরি মিথ্যাচারকে হাতিয়ার করা হচ্ছে। রাবণের পুষ্পক রথকে জোর করে আধুনিক বিমানের পিতামহ ভাবতে না পারলে সরকারপোষিত রোমন্থনকারীদের পেটের ভাত কিংবা ঘাস, কোনওটিই হজম হয় না! আরও ভয় লাগে যখন দেখি, এত দিন ধরে দেখে সুস্থ বুদ্ধির মানুষেরাও এই ব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছেন। ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে জানি, বহু তথাকথিত শিক্ষিত মানুষও সোশ্যাল মিডিয়া বা হোয়্যাটসঅ্যাপের এই ভণ্ড-বিশ্বাসে আক্রান্ত। যা সমাজকে নিয়ত গভীর থেকে গভীরতর অসুখে আক্রান্ত করছে।

পাঠ্যসূচি

১. ই. এইচ কার- কাকে বলে ইতিহাস (What is History-র বঙ্গানুবাদ), প্রকাশক- কে.পি বাগচী

২. John C.B. Webster, Studying History, প্রকাশক-প্রাইমাস বুকস

৩. Romila Thapar, Penguin History of Early India: From the Origins to AD 1300, Penguin India

৪. রণবীর চক্রবর্তী, অনুমানে শুরু, সমাধা অনিশ্চয়ে, মূল নিবন্ধকারের ভাষণ, ইতিহাস অনুসন্ধান ৩৪, পশ্চিমবঙ্গ ইতিহাস সংসদ

৫. দেবীদাস আচার্য, মহাভারতে জনবিদ্রোহের উপাদান, প্রকাশক- সিগনেট প্রেস

৬. Ranabir Chakravarti, Nakhuda Nuruddin Firoz at Somanatha: AD1264, Trade and Traders in Early Indian Society (Third, Revised and Enlarged Edition), Manohar

কুন্তক চট্টোপাধ্যায় ইতিহাসের গবেষক। পেশায় সাংবাদিক। আগ্রহের বিষয়, প্রাচীন ভারতের আর্থ-সামাজিক ইতিহাস, বাণিজ্যিক কার্যকলাপ।

--

--