SEO — Search Engine Optimization
সবাইকে সালাম ও শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আজকের আলোচনা। আলোচনার বিষয় হলো “এস ই ও” অর্থাৎ সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন।
এস ই ও (SEO) বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন কি?
আমরা সবাই সার্চ ইন্জিন এর সাথে মোটামুটি পরিচিত। যেমনঃ Google, Yahoo, Ask ইত্যাদি হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিন। এর মধ্যে গুগল সবচেয়ে জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন। এখানে আপনি কোন বিষয় জানার জন্য সার্চ করলে সে অনুযায়ী সবচেয়ে ভাল তথ্যবহুল যে সাইট টি আছে আপনাকে সেটা দেখাবে। যেখানে ভিজিট করলে আপনি আপনার কাঙ্খিত তথ্য গুলো পাবেন। এভাবে আপনি আপনার সাইটটি যেভাবে গুগলের টপে নিয়ে আসবেন এটাই এস ই ও এর কাজ। অর্থাৎ গুগল বা যে কোন সার্চ ইন্জিন এ আপনি যেভাবে করে নিজের সাইটকে সবার উপরে প্রথম পেজ এ আনবেন এই কাজটাকেই এসইও বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন।
জনপ্রিয় কিছু জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিনের নামঃ
www.google.com
www.yahoo.com
www.bing.com
www.ask.com
www.msn.com
www.aol.com
www.altheweb.com
www.altavista.com
সার্চ ইঞ্জিন কি ভাবে কাজ করে?
সার্চ ইঞ্জিন তার নিজস্ব Software এর মাধ্যমে কাজ করে থাকে। Software টির নাম ক্রাউলার।
সার্চ ইঞ্জিন তার স্বয়ংক্রিয় ক্রউলার বিভিন্ন ওয়েব সাইট বা ব্লগে পাঠায়,
ক্রউলার অনলাইনে ওয়েব সাইট বা ব্লগ থেকে প্রয়োজনীয় ডাটা সংগ্রহ করে, নিজস্ব ডাটা বেজে বা ডাটা সেন্টারে জমা রাখে।
সার্চ ইঞ্জিন রেজাল্ট পেজ বা SERP কি?
সার্চ ইঞ্জিন রেজাল্ট পেজ বা SERP (Search Engine Results Page) হচ্ছে যখন কোন ব্যবহারকারী সার্চ ইঞ্জিনে এসে কোন তথ্য সর্ম্পকে অনুসন্ধান করে, তখন সার্চ ইঞ্জিন তার নিজস্ব ডাটা বেজ থেকে ব্যবহারকারীকে তার তথ্য অনুসন্ধান সর্ম্পকিত যে ওয়েব লিংক সমূহ দিয়ে থাকে বা যে রেজাল্ট প্রদর্শন করে তাই SERP (Search Engine Results Page) বা সার্চ ইঞ্জিন রেজাল্ট পেজ।
Types Of SEO — এস ই ও এর প্রকারভেদঃ
০১। অরগানিক এস ই ও বা ফ্রি এস ই
(এটা একটা ফ্রি পদ্ধতি। এইটার জন্য সার্চ ইঞ্জিকে কোনো টাকা দিতে হয় না)০২। পেইড এস ই ও
(সার্চ ইঞ্জিনকে টাকা দিয়ে সার্চ ইঞ্জিনের সার্চে আসতে হয়। যতদিন টাকা দেয়া হবে ততো দিন
সার্চ ইঞ্জিনের সার্চে থাকবে আপনার ওয়েব সাইট বা ব্লগ)
সার্চ ইঞ্জিনের নিয়ম অনুসারে এস ই ও প্রকার দুইটিঃ
০১। হোয়াইট হ্যাট এস ই ওঃ(বৈধ পদ্ধতি যা সার্চ ইঞ্জিনের কাজের কিছু নিয়ম এবং শর্ত)
০২। ব্লাক হ্যাট এস ই ওঃ (অবৈধ পদ্ধতি)
০১। হোয়াইট হ্যাট এসইওঃ
এস ই ও এর কার্যাবলীগুলোর মধ্যে যদি নিম্নোক্ত বিষয়গুলি অন্তর্ভুক্ত থাকে, তাহলে তাকে হোয়াইট হ্যাট এস ই ও বলা যেতে পারে, যেটা গুগল এর নির্দেশনাসমূহ মেনে চলে।
যেটাতে কোন প্রতারনার পন্থা অবলম্বন করা হয় না।
এটা নিশ্চিত করে যে, গুগল সার্চ এ যে বিষয়বস্তু সমূহ প্রদর্শন করবে, ওয়েবসাইট এর বিষয়বস্তুসমূহ ঠিক একই হবে।
এটা নিশ্চিত করবে যে, ওয়েবসাইট এর বিষয়বস্তুসমূহ প্রধানত ব্যবহারকারীদের জন্যই তৈরি করা হয়েছে, শুধুমাত্র গুগল এর সার্চ ইঞ্জিন এ ভাল অবস্থান পেতে নয়।
যেটা ওয়েবপেজ এর ভাল গুনাগুন নিশ্চিত করে।
যেটা ওয়েব পেজ এ ভাল মানের বিষয়বস্তুর নিশ্চয়তা বিধান করে।
একজন ওয়েব ডেভেলপার এর জন্য হোয়াইট হ্যাট এস ই ও এর পথ অনুসরণ করা উচিত। কারন, এটা তুলনামুলকভাবে কষ্টসাধ্য হলেও ভবিষ্যতে ওয়েবসাইট এর উন্নতি সাধনে সহায়তা করে।
০২। ব্ল্যাক হ্যাট এসইওঃ
যদি একজন অনুসন্ধান ইঞ্জিন অপটিমাইজার তাঁর ওয়েবপেজ এর সার্বিক উন্নয়নে নিম্নোক্ত পথসমুহ অবলম্বন করে, সেই পদ্ধতিকে ব্ল্যাক হ্যাট এস ই ও বলে অভিহিত করা যেতে পারে,
গুগল এর নির্দেশনা সমূহ উপেক্ষা করে ওয়েবসাইট এর রাঙ্ক বৃদ্ধিতে কাজ করলে।
যদি ব্যবহারকারিকে অন্যকোন ওয়েবসাইট থেকে নিজের ওয়েবসাইট এ নিয়ে আসার চেষ্টা করা হয়, যার মান পূর্বোক্ত ওয়েবসাইট এর সমান বা কম মানের অধিকারী।
কি ওয়ার্ড এ মেটা ট্যাগ এর পুনরাবৃত্তি ঘটালে।
ওয়েবসাইট এর ঠিকানার সাথে মিল না রেখে বিষয়বস্তু নির্ধারণ করলে।
এইচ টি এম এল কোড ব্যবহার করে ওয়েব পেজ এর কোন বিষয়বস্তু গোপন করলে।
সর্বোপরি, আপনার ওয়েবসাইট এর উন্নয়েনে হোয়াইট হ্যাট এস ই ও এর কৌশল সমূহ অনুসরন করা উচিত। আপনি ওয়েবপেজ এর উন্নয়নে যেটাই অনুসরণ না কেন, গুগল অবশ্যই সেটা জানতে পারবে এবং সে অনুযায়ী বাবস্থা গ্রহণ করবে।
এস ই ও কয়টি পদ্ধতিতে করা যায়?
এস ই ও করার পদ্ধতি মূলত দুই টিঃ
১। অন পেজ এস ই ও (On Page SEO): এডমিন প্যানেলে লগ ইন করে ওয়েব সাইটের কাজ করতে হয়।
২। অফ পেজ এস ই ও (Off Page SEO): এডমিন প্যানেলে লগ ইন না করে বাইরে থেকে ওয়েব সাইটের কাজ করা।
অন পেজ এসইওঃ
লেখাটিকে এমন ভাবে সাজানো যাতে সার্চ ইঞ্জিন সহজেই বুঝতে পারে আপনি কি নিয়ে লিখছেন। যদি গুছিয়ে অন-পেজ অপ্টিমাইজশেন না করেন তবে ফল পাবেন না। দেখা যাবে লিখেছেন কাকের ঠ্যাং এর উপরে আর র্যাঙ্ক করেছে বকের ঠ্যাং এ। সহজ কথায় আর্টিকেল টিকে এমন ভাবে সাজানো যাতে সার্চ ইঞ্জিন সহজেই আপনার লেখার টপিক টা বুঝতে পারে এবং সে অনুযায়ী লেখাটিকে র্যাঙ্ক করে।
অফ পেজ এসইওঃ
অফ পেজ এর নাম শুনেই বুঝতে পারছেন এখানে যতো জারিজুরি তার সবটাই নিজের পেজের বাইরে মানে অন্যের ওয়েবসাইটে। কিভাবে পরের মাথায় কাঠাল ভেঙ্গে নিজের লেখা র্যাঙ্ক করতে হয় সেটা নিয়ে অন্য কোন দিন আলোচনা হবে। আজ নিজের মাথা পড়ুন আর নিজের কাঁঠাল নিয়েই আলোচনা করা যাক।
সঠিক কি ওয়ার্ড এর জন্য র্যাঙ্ক করতে প্রোপার অন-পেজ অপটিমাইজেশন এর কোন বিকল্প নেই। মানুষ আপনার লেখাটি তখনি পড়বে যখন আপনি এমন কিছু লিখছেন যা তিনি খুজছিলেন। সার্চ ইঞ্জিন এর এলগরিদম দীর্ঘ দিনে এমন ভাবে গড়া হয়েছে যাতে এটি বুঝতে পারে কোন লেখা কোন বিষয়ে আর এটার র্যাঙ্কিং কেমন হওয়া উচিত। আর্টিকেলকে সার্চ ইঞ্জিন ফ্রেন্ডলি করে সাজানোর জন্য কয়েকটি বেস্ট প্রাক্টিস নিয়ে স্টেপ বাই স্টেপ ধারনা দেয়া হবে নিচে।
এস ই ও করতে কমন কিছু ওয়ার্ড ব্যবহৃত হয়!
Keyword
URL
Link
Visitor
Page Rank
Meta Tag
Back Link
এস ই ও শিখতে কি কি লাগে বা কতদুর পড়াশুনা জানতে হয়?
১। মোটামুটি কনফিগারেশন সম্বলিত একটি ল্যাপটপ/কম্পিউটার।
২। ইন্টারনেট কানেকশন।
৩। ইন্টারনেট সর্ম্পকে মোটামুটি ধারণা এবং ওয়েব ব্রাউজিং।
৪। শেখার মানসিকতা/আগ্রহ।
৫। উপরি উক্ত বিষয় গুলো জানলে এবং মোটামুটি ইংরেজি ধারণা, যাতে করে আপনি
বুঝতে পারেন ওয়েব সাইট টি বা ক্লাইন্ট আপনাকে কি বলছে।
কেন শিখবেন এস ই ও বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন?
অনলাইন মার্কেটিং একটা গুরুত্বপূর্ণ পার্ট হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন। যা কিনা সার্চ ইঞ্জিন (গুগল, বিং, ইয়াহু, ইত্যাদি) থেকে ভিজিটর আনতে সাহায্য করে। যখন মানুষ সার্চ ইঞ্জিনে কোন কি-ওয়ার্ড দ্বারা সার্চ করবে, আর সেখানে যদি আপনার সাইটটি র্যাঙ্কে থাকে তখন আপনার পজিশন কি হয় দেখেন:
Google.com>>Who is google? >> www.computerhope.com
আর এটা যদি আপনার সাইট হয় তাহলে আপনার কেমন হবে বুঝতেই পারছেন? কারন আপনি নিজের থেকে একটা জিনিস ভাবুন আপনি যদি কোন বিষয় জানার জন্য সার্চ করেন তখন সার্চ রেজাল্ট এর সাইট গুলোর কোন সাইট টাতে আপনি ক্লিক করেন? প্রথম টাতে নাকি পরের গুলোতে? এভাবে সব ধরনের বিষয়ের ক্ষেত্রে একই রকম।
আর মানুষ এই কারনে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন শিখতে চায়। সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন জানা থাকলে সার্চ ইঞ্জিন থেকে ফ্রী ভিজিটর যে রকম আনা যায়, সেরকম গুগলকে প্রতি মাসে হাজারের উপর ডলার দেওয়া থেকে বেচে যাওয়া যায়। এটা আরেকটু পরিস্কার করি যেমন আপনি যখন গুগলে কোন বিষয় লিখে সার্চ দেন দেখবেন প্রথম কিছু পেইড এড শো করে। এই কী ওয়ার্ডে সার্চ দিলে এই সাইট টি প্রথমে শো করার জন্য গুগল কে পেইড করতে হয়েছে। আর এ জন্য এক কথায় বলা যায় যে, কোন ইনভেস্টমেন্ট ছাড়াই ইনকাম করতে হলে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন আপনাকে শিখতেই হবে।
হয়ত আপনি ভাবতে পারেন তাহলে আমার সাইট টা তো টপে থাকলো না। হুম এটা যেমন ঠিক তেমনি ওর পেমেন্ট এর কথা ভাবুন তার সাইট গুগল এর টপে রাখার জন্য তাকে প্রতি ক্লিক এ গুগল কে ১ ডলার করে পে করতে হচ্ছে। আর এক্ষেত্রে আপনি পাচ্ছেন পুরো ফ্রিতে।
আরেক টা জিনিস মাথায় রাখবেন পেইড এড গুলো সবাই পছন্দ করে না। আপনি নিজের থেকে চিন্তা করেন আপনি যদি কোন সাইটে ভিজিট করেন সেখানে যদি কোন এড দেখায় তাহলে আপনি কি এড ক্লিক করেন নাকি সেটা স্কিপ করে যান। এরকম ই সবাই এড এর সাইট গুলোতে ক্লিক করে না। আর সার্চ ইন্জিন র্যাংক হিসেব করে এড দেয়া সাইট এর পরের সাইট গুলো।
এ জন্য এস ই ও এর চাহিদা কখনই কমবে না। প্রতিনিয়ত বাড়তেই থাকবে।
একদিকে এস ই ও এর মাধ্যমে আপনি আউটসোর্সিং করতে পারবেন। আপনার জন্য অনেক কাজ অপেক্ষা করছে। আবার যদি আপনি চিন্তা করেন আউটসোর্সিং করব না নিজের বিজনেস নিজে ডেভলপ করব আপনি সেটাও পারবেন।
আর সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে আপনি যদি সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন শিখেন তবে আপনার জন্য যে কোন ধরনের সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে পারবেন অনলাইন আয়ের জগতে। একটা প্রোডাক্ট তৈরি করা থেকে একটা প্রোডাক্ট মার্কেট পাওয়া অনেক কষ্ট। আর আপনি যখন সেই কঠিন কাজটা নিজের আওতায় অন্তর্ভুক্ত করতে পারবেন তখনি আপনি অনলাইন আয়ের জগতে নিজেকে স্বাবলম্বী করতে পারবেন।
আর বর্তমানে ইকমার্স ব্যাবসা, যে কোন ধরনের বিজনেস ডেভেলপ করা সব কিছুই প্রযুক্তির সাহায্যে হচ্ছে। আর সব কিছুই আপনি সম্ভব করতে পারবেন এস ই ও দ্বারা।
আরেক টু দেখে নিন
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন আপনাকে কি কি বিষয়ে সাহায্য করবে?
1. আপনার সাইটের ভিজিটর বৃদ্ধির ক্ষেত্রে।
2. ROI (ROI=Return on Investment) বা আপনার বিনিয়োগ ফিরে পাবেন
3. অতিরিক্ত পরিমাণ বিনিয়োগ বাঁচাতে পারবেন।
4. খুব কম বিনিয়োগে নিজের কোম্পানি বা ব্র্যান্ড কে প্রচার করাতে পারবেন।
কোথায় শিখবেন এস ই ও?
এস ই ও শেখার বিভিন্ন উপায় আছে। আমি কিছু শেয়ার করলাম।
১। ট্রেনিং সেন্টার
২। অনলাইনে বিভিন্ন ব্লগ পড়ে বা গুগলের সাহায্য নিয়ে।
৩। ভিডিও টিউটোরিয়াল দেখে।
এই উপায় গুলো ফলো করে আপনি এস ই ও শিখতে পারেন। এখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে এই ৩ উপায় এর মধ্যে কোনটা আমার জন্য ভাল হবে? প্রথম দুইটা উপায় আপনার জন্য সব থেকে বেশি ভাল হবে। এখন আবার প্রশ্ন যে, তিন নাম্বারটা কেন বেশি ভাল হবে না?
উত্তরঃ আপনি যদি ভিডিও টিউটোরিয়াল দেখে কাজ শিখেন তাহলে আপনার শিখার আগ্রহ ওই ভিডিও টিউটোরিয়াল পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকবে। কোন কিছু জানার জন্য আপনি ভিডিও টিউটোরিয়াল খুঁজবেন, ভিডিও টিউটোরিয়াল এর উপর নির্ভর থাকবেন। কোন কিছু জানার জন্য তখন আপনি গুগল ব্যবহার করবেন না ইউটিউব ব্যবহার করে ভিডিও খুঁজবেন। যার কারনে আপনার জ্ঞান ভিডিও পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকবে। যার কারনে ভিডিওটাকে আমি ওই ভাবে সাপোর্ট করি না।
বাকি রইল ২ টা ট্রেনিং সেন্টার অ্যান্ড অনলাইনে ব্লগ পড়ে। আপনি যদি ট্রেনিং সেন্টার থেকে ট্রেনিং নিয়ে এস ই ও শিখতে চান তাহলেও পারবেন তবে আপনাকে ভাল মানের এস ই ও এক্সপার্টদের কাছ থেকে ট্রেনিং নিতে হবে। যদি সেই রকম কোন ট্রেনিং সেন্টার না পান তাহলে অনলাইনকে বেছে নিন। এখন ধরুন আপনি একটা ট্রেনিং সেন্টার থেকে এস ই ও শেষ করলেন। আর ট্রেনিং শেষ করার পর যদি আপনি মনে করেন যে আপনি এস ই ও এক্সপার্ট হয়ে গেছেন তাহলে মস্ত বড় ভুল করলেন।
এখন বর্তমানে ট্রেনিং সেন্টার গুলোতে মোটামুটি বেসিক শিখানো হয় আর খুব কম প্রতিষ্ঠান ই আছে যারা ট্রেনিং চলাকালীন সময়ে লাইভ প্রজেক্ট দেখায়। কিন্তু এতেও আপনাকে এক্সপার্ট হতে পারবেন না। ট্রেনিং শেষ করে আপনার ব্যক্তিগত সাইট কে এস ই ও করার ক্ষেত্রে এবং ইন্টার্নির ব্যবস্থা করে কোন লাইভ প্রজেক্টে কাজ করালে আমি আশা করি আপনি কাজ করার মত এস ই ও শিখতে পারবেন। কিন্তু কখনোই এক্সপার্ট বলতে পারবেন না। কারন এটা যে সময় আপডেট হতে পারে অতএব আপনাকে শেখার উপরে কাজের উপরেই থাকতে হবে।
আপনাকে যা করতে হবে :
ট্রেনিং চলাকালীন ওখান থেকে যে লাইভ প্রজেক্ট গুলো দেখানো হবে সেগুলোর পাশাপাশি নিজের Personal Profile করতে হবে।
ট্রেনিং শেষে ট্রেনিং ইন্সটিটিউট এ কমপক্ষে তিন মাস সময় নিয়ে তাদের থেকে লাইভ প্রজেক্ট করে আপনাকে আগাতে হবে।
এমন প্রতিষ্ঠান এ ভর্তি হবেন যাদের ট্রেইনার রা আসলেই এসইও কাজ করেন। যে প্রতিষ্ঠান ট্রেনিং এর পরেও আপনাকে তাদের সাথে থেকে ইন্টার্নি বা তাদের প্রজেক্টে কাজ করার সুযোগ দেয়।
যে প্রতিষ্ঠান আসলেই টাকার থেকে শিখানোর ব্যাপারে আগ্রহী সেসব প্রতিষ্ঠান কে বাছাই করে নিতে হবে।
আপনি যেখানে ভর্তি হবেন তাদের মডিউল দেখেন। তারপরে যারা SEO Expert আছে তাদের কে মডিউল দেখান তারা যদি আপনাকে সাজেষ্ট করে ভর্তির ব্যাপারে তাহলে আপনি ভর্তি হবেন।
সর্বপরি গুগল যদি আপনি ভাল করে কাজে লাগাতে পারেন তাহলে আপনার এক্সপার্ট হওয়া কেউ ঠেকাতে পারবে না। এমন অনেকেই আছে যে অনেক অ্যাডভান্স জিনিস পারে কিন্তু ছোট কাজ সেটা পারে না কিন্তু সে সেই কাজটা শিখেছিল এখন মনে নেই। আর তার না পারার কারন হচ্ছে অ্যাডভান্স জিনিস শিখতে গিয়ে সে বেসিক অনেক কিছুই ভুলে গেছে এই রকম যেন আপনার ক্ষেত্রে না হয় সে জন্য আপনি যে টুকু শিখেছেন সেই টুকু নিয়ে প্রতিদিন অনুশীলন করতে হবে আর অ্যাডভান্স কাজ গুলো শিখতে হবে।
এস ই ও শিখতে আপনাকে কি কি বিষয় শিখতে হবে?
০১। Basic concepts of a website promotion
০২। Discussion on White Hat, Grey Hat and Black Hat SEO
০৩। Keywords
০৪। Back Links
০৫। Anchor Text
০৬। Page Rank
০৭। Website Age
০৮। Understanding Authority
০৯। Ranking Factors
১০। Introduction to Keyword Research
১১। Keyword Tools
১২। Finalization of Keywords
১৩। Domain Selection & SEO Friendly Website Structure
১৪। Single Page Optimize
১৫। Robots.txt and Sitemap.xml
১৬। Important on site factors
১৭। Google Webmaster Tools & Analytics
১৮। Link Strategy & Monitoring
১৯। Reporting, Portfolio building & Auditing
এস ই ও এর কিছু সুবিধা বা দিক গুলো কি কি?
আপনার ক্লাইন্টের কাজের উপর নির্ভর করে কত ঘন্টা আপনাকে কাজ করতে হবে। তবে ২ ঘন্টা কাজ করলেই মোটামুটি ফলাফল পাওয়া যায়। তবে ক্ষেত্র বিশেষে সময় বেশি লাগে সেটা হতে পারে ৪-৬ ঘন্টা বা আরো বেশি।
এস ই ও করে মাসে কত টাকা ইনকাম করা যায়?
এক্ষেত্রে আপনার কাজের দক্ষ্যতার উপর নির্ভর করে যে, আপনি মাসে কত টাকা ইনকাম করতে পারবেন। বাইরের দেশে অনেক এস ই ও ফ্রিল্যানসার প্রতি কাজের জন্য monthly 750–3000 ডলারের বিনিময়ে কাজ করে থাকেন। তবে সেক্ষেত্রে আমাদের দেশে টাকা টা তুলনা মূলক একটু কম তবে কাজে দক্ষ্য হলে ইনকাম বাড়বে বই কমবে না। তাই বুঝতেই পারছেন এর ইনকাম সোর্স বা পরিধি কত।
কিছু কি বাদ রয়ে গেলো?
যদি বাদ গিয়েই থাকে তাহলে অবশ্যই বলবেন আমি আগামীতে আবার এর পরের অংশ টিউন করবো। আশা করি এস ই ও নিয়ে আপাতত কোনো সমস্যা নেই। নাকি আছে? আগামী থেকে শুরু করবো কিভাবে ভাল মানের আর্টিকেল লিখা যায়। শেখার তালে থাকুন মন ভাল থাকবে।
লেখক ও রিসার্চঃ শিশির চৌধুরী