Md. Riadul Islam
TechBongo
Published in
3 min readMar 18, 2017

--

কীভাবে ইচ্ছাশক্তি বাড়ানো সম্ভব !!

প্রথমেতো দেখা যাক ইচ্ছাশক্তি কী ??

আসলে এটা আমাদের দুইটা মনের মধ্যে কম্পিটিশান এর নাম । একটা হলো যে কিছু পরিবর্তন আনতে চায় । আরেকটা হলো যে শুধু ভাল থাকতে চায় । মানে আমি বলতে চাচ্ছি কম্ফ্রটেবিল থাকতে চায় ।

যেমন কিছুদিন জেদ করে সকালে ওঠার পর একটা সময় আমাদের এরকম মনে হতে থাকে । এটা কে ? এটা আমি ? নাকি অন্য কেউ । মানে ভিতর থেকে অন্য রকম একটা আওয়াজ আসে যেটা আমাদের ওই কাজটাকে চালিয়ে যেতে বাধা দেয় । এই দুটো মনের মধ্যে প্রতিযোগিতাই হলো ইচ্ছাশক্তি ।

৫টি রুল আছে যেগুলা মেনে চললে ইচ্ছাশক্তি বাড়ানো সম্ভব । এগুলাকে অনুসরন করে ব্যাবহারিক ভাবে পরিবর্তন আনা সম্ভব ।

১। তোমার ইচ্ছা শক্তি দেহতত্তের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ (Train Your willpower physiology

শারীরিকভাবে তিনটা উপায় আছে যেটার মাধ্যমে ইচ্ছাশক্তি বাড়ানো সম্ভব ।

i) পর্যাপ্ত ঘুম (Enough Sleep)

একটা স্টাডি থেকে জানা গেছে যে , কম ঘুমানোর কারনে শারীরিকভাবে আমাদের ব্রেইন এর কিছু অংশ কম সক্রিয় হয়ে পড়ে । সে কারনে আমাদের এরকম অবস্তায় প্রতিটি ইচ্ছাশক্তির চ্যালেঞ্জই আমাদের জন্যে অনেক কঠিন হয়ে দাড়ায়। একারনে আমাদের প্রত্যেক রাতে ৬ ঘন্টা ঘুমানো উচিত (খুবই দরকার) ।

ii) ব্যায়াম (Exercise)

ব্যায়াম করার ফলে এমন কিছু হরমোন রিলিজ হয় যেগুলা ব্রেইন এর বিভিন্ন অংশগুলা বড়-ভাল-সংযুক্ত রাখতে সাহায্য করে ।

iii) স্বাস্থ্যকর খাদ্য

যদি ব্রেইনকে শক্তি ধরে রাখার মেশিন বানাতে হয় । তাহলে স্বাস্থ্যকর খাদ্য খাওয়া খুবই জরুলি । বেশি করে শাকসবজি যুক্ত খাদ্য ব্রেইন এর জন্যে খুব উপকারি । এটা ব্রেইনকে সঠিক উপায়ে শক্তি সরবারহ করতে সাহায্য করে ।

২। আমি চায় তুমি তোমার কোনও শেষ ইচ্ছাশক্তি থেকে বেরিয়ে আসা বার্থতার কথা মনে কর । যেমন ধর আবেগ প্রবণ হয়ে অস্বাস্থ্যকর কিছু খেয়ে নেয়া । বা কোনো পড়ার জন্যে ইউটিউবে এসে না পড়ে বেকার কোনও ভিডিও দেখতে লেগে যাওয়া ।

এবার আমাকে বলো তোমার কী মনে হয় ?? এই বার্থতার ব্যাপারে খারাপ লাগা বা আফসোস করা । এটা কী তোমাকে পরবর্তীতে এটা থেকে উঠে দাড়াতে বা না করতে সাহায্য করবে ?? একটা ইচ্ছাশক্তির উৎস হিসাবে ? নাকী ইচ্ছাশক্তিকে আরও নিঃশেষ করে দিবে ? আমি ধারনা করে বলতে পারি বেশিরভাগ লোকেরা বলবে , অনুতাপ করা বা খারাপ লাগাটা পরবর্তীতে না করতে উৎসাহ প্রদান করবে । কিন্তু পর্যবেক্ষণ অনুযায়ি দেখা গেছে এটা একটা ভুল ধারনা । উদাহরন : জুয়া খেলা । জুয়া যে খেলে সে যতবার হারে ঠিক ততবার সে আরও বেশি টাকা নিয়ে খেলতে বসে । এর থেকে বাচার একটাই পথ আছে সেটা হছে নিজেকে ক্ষমা করা (Forgive Yourself) ।

আপনাকে শুধু তিনটা পথ অনুসরন করতে হবে ।

১। নোটিস করো তুমি গিল্টি অনুভব করছেন।

২। আইডেন্টিটিফাই করোএটা একটা কমন হিউম্যান নেচার ।

৩। সমালোচনা থেকে নিজেকে বাহিরে আনার জন্যে আপ্রাণ চেষ্টা করো । সবথেকে ভাল হবে যদি তুমি নিজেকে নিজের বেষ্ট ফ্রেন্ড হিসাবে মনে রাখতে পারো ।

৩। তোমার ভবিষ্যত ভাবনা — আজ থেকে ২০/৩০ বছর পর তুমি কেমন হবে ? কী করবে ? এসব ভেবে তোমার বর্তমান ব্যাক্তিত থেকে ভবিষ্যত ব্যাক্তিতকে একটা চিঠি লেখা । এরকম ভাবে ঘন ঘন চিঠি লেখা আমাদের অনেক বড় ইচ্ছাশক্তির উৎস হিসাবে কাজ করে ।

৪। এবার আসি আমার সবথেকে পছন্দের রুলে । তোমার কী মনে হয় বেশি ইচ্ছাশক্তি পাওয়ার জন্যে কোন উপায়টা সবথেকে বেশি গুরুত বহন করবে । সাফল্যকে নিয়ে চিন্তা করা ? নাকি বার্থতাকে নিয়ে চিন্তা করা ? নিশ্চয় ভাবছো সাফল্যকে নিয়ে চিন্তা করা । দুঃখিত এবারও তুমি ভুল বললে । গবেষণা অনুযায়ি দেখা গেছে বেশি ইচ্ছাশক্তি পাওয়ার ক্ষেত্রে সাফল্যকে চিন্তা করা ভালো । কিন্তু তার থেকে বার্থতাকে চিন্তা করা আরও ভালো । যখন কোনো বড় কোনো সমস্যাতে গিয়ে তুমি ব্যার্থ হয়ে যাবে । তখন তুমি কোনো ছোট গোলকে মেনে নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে শুরু করবে। বেশিরভাগ গুরুজন বলে থাকেন আমাদেরকে সাফল্যকে লক্ষ্য ধরা উচিত কিন্তু তার থেকে বেশি ব্যার্থতাকে লক্ষ্য ধরা উচিত (Success < Failure)।

৫। আবেগকে পরিস্কার করা- এটা মুলত আমাদের প্রবল ইচ্ছা গুলাকে নিয়ন্ত্রন করার একটা পদ্ধতি । এটা পরিষ্কার করার জন্যে তোমাদেরকে এই কঠিন ইমোশাননে নিয়ন্ত্রন করার জন্যে পরিশ্রম করতে হবে । ওই ইমোশানকে মন দিয়ে পর্যবেক্ষণ করতে হবে । এবং বিশ্বাস রাখতে হবে যে এটা শুধুমাত্র একটা ইমোশান অন্য কিছু না । সময়ের সাথে সাথে যেটা অতিক্রম করে যাবে । এটা আসল না । তোমাকে ওটাকে শুধু মন দিয়ে দেখতে থাকতে হবে । এর ফলে শরীরে কী কী রিএকশান দেখা দিচ্ছে সেগুলা নোটিশ করতে হবে । যদি খিদে পায় তাহলে পর্যবেক্ষণ করো খিদেটা শরিরের কোথায় ঠিক রিএকশান তৈরি করছে । এটাকি পেটের খিদে নাকি মনের খিদে ?

--

--

Md. Riadul Islam
TechBongo

I am a software Engineer. | I am really passionate about programming and experimenting with new things.