source: https://www.techworldbd24.com/newsphoto/185437422.jpg

কিভাবে কোনো ঝামেলা ছাড়া এমআরপি রিনিউ করবেন।

Fahad Bin Aman
tripsharebd
Published in
4 min readMay 19, 2018

--

http://www.passport.gov.bd/Default.aspx এইখানে নির্দেশনা পড়ে নিয়ে অনলাইনে এপ্লিকেশন শুরু করবেন। তথ্যগুলা ঠিক মতো দেওয়া উচিত, বিশেষ করে ই-মেইল এড্রেস যেইটা নিয়মিত ব্যবহার হয় ঐটা দিবেন (ঐ মেইল এই ইউজার আইডি/ পাসওয়ার্ড পাঠাবে)।

প্রথম পেইজে সব তথ্য দিবেন , এইখানে এপ্লিকেশন টাইপ নিউ দেখাবে, ভয় পায়েন না; সমস্যা নাই। পরের পেইজে পাসপোর্ট এর ইনফো দিতে হবে, এইখানে পাসপোর্ট পরিবর্তনের কারণ EXPIRED সিলেক্ট করবেন। সেইভ করে পরের পেইজে যান।

এই পেইজে পেমেন্ট ইনফর্মেশন দিতে হয়। কোন কোন ব্যাংকের কোন শাখায় দেওয়া যায় দেখে নিবেন, এরপর টাকা জমা করে দিবেন। ব্যাংকে গিয়ে বললেই ওরা সাহায্য করবে। ফি হইতেসে সাধারণ ৩০০০+১৫% ভ্যাট = ৩৪৫০ টাকা , অসাধারণ/এক্সপ্রেস ৬০০০+১৫% ভ্যাট= ৬৯০০ টাকা। আমার মতো এক্সপায়ার্ড হয়ে গেলে প্রতি বছর এর জন্য ৩০০+১৫% ভ্যাট = ৩৪৫ টাকা যোগ করে জমা দিবেন। (যেমন আমি এক্সপ্রেস+ ১ বছর এর লেইট ফি দিয়েছি সব মিলিয়ে ৬৯০০+৩৪৫= ৭২৪৫ টাকা, কারণ আমার পাসপোর্ট এর এক্সপায়ার ডেইট ছিলো মার্চ ২০১৬, আর আমি রিনিউ করেছি অক্টোবর ২০১৬তে) বোনাস টিপসঃ বাসা মতিঝিল,সেগুনবাগিচা,শান্তিনগর আশেপাশে হইলে দিলকুশার ট্রাস্ট ব্যাংকে যান, আমার ব্যাংকে ঢুকার পর ডিপোজিট স্লিপ এ লিখে টাকা জমা দিয়ে বের হইতে সব মিলিয়ে ১৫ মিনিট লাগসে (রবিবাব্র দুপুর ১১টায়)। ব্যাংক থেকে ডিপোজিট স্লিপ এর সাথে একটা কম্পিউটার প্রিন্টেড রিসিট দিবে (সোনালী ব্যাংক দেয় না সম্ভবত), ঐটা ফর্ম এর সাথে এটাচ করতে হবে। পেমেন্ট ইনফরমেশন দেওয়া শেষ হইলে রিভিউ পেইজে নিয়ে যাবে, সব ঠিক থাকলে সেইভ দেন, না হইলে ব্যাক করে ঠিক করেন। সব ঠিক থাকলে এর পর সাবমিট দেন। এখন কোন পাসপোর্ট অফিসে যাইতে হবে, কবের মধ্যে বলে দিবে। (আমারটা আগারগাঁও ছিলো, ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে যাইতে বলসিলো।)

এখন এই লিংক থেকে http://www.passport.gov.bd/Reports/MRP_Information_Alteration_Correction.pdf রিইস্যু/ ডি.আই.পি ফর্ম ২ এর প্রিন্ট করেন ৩ কপি। এইটা ও ফিলআপ করেন ঠিকমতো, কি করতে হইবো ফর্মে বলে দেওয়া আছে।

এখন ডি.আই.পি ফর্ম ১/ পাসপোর্ট ফর্ম এর ৩ কপি কালার প্রিন্ট দেন। যদি সমস্যা হয় তাইলে শুধু কভার পেইজটা কালারে করে, বাকিটা সাদা কালোতে করতে পারেন (আমি ঐটাই করসি, কারণ সাদাকালোটা লেজার প্রিন্টার দিয়ে প্রিন্ট দিসি ) এখন সুন্দর রিসেন্ট পাসপোর্ট সাইজের ছবি এটাচ করেন ৩টায়। ফর্ম এর ২-১ জায়গা খালি থাকে হাতে লিখে পূরণ করার জন্য, সাইন দেওয়ার জন্য, ঐগুলা শেষ করেন।

এখন নিজের বার্থ সার্টিফিকেটের/এনআইডির ফটোকপি করেন ৩টা, পুরান পাসপোর্ট এর ফটোকপি করেন ৩টা(কভার পেইজ থেকে ৩ পাতা/ প্রথম ৬ পৃষ্ঠা)। পাসপোর্ট এর ফর্ম, বার্থ সার্টিফিকেটের/এনআইডির ফটোকপি এখন সত্যায়িত করান, কারা করতে পারবে ওয়েবসাইটে দেওয়া আছে, তাই কথা বাড়াইলাম না। ফর্ম এ কেমনে সত্যায়িত করতে হবে সেইটা ভালো ভাবে পড়ে নিয়েন।

এখন পেমেন্ট স্লিপ/রিসিট>ডি.আই.পি ফর্ম ২/রি ইস্যু ফর্ম> ডি.আই.পি ফর্ম ১/ পাসপোর্ট ফর্ম> পুরাতন পাসপোর্ট এর ফটোকপি>বার্থ সার্টিফিকেটের ফটোকপি; এই সিরিয়ালে কাগজগুলা সাজান। পেমেন্ট স্লিপ বাদে সব স্টেপল করেন, পেমেন্ট স্লিপটা আঠা দিয়ে ডি.আই.পি ফর্ম ২/রি ইস্যু ফর্ম এর উপরে লাগান। আপনি এখন রেডি পাসপোর্ট অফিসে যাওয়ার জন্য। ও হ্যা যেই কাগজপত্রের যেই সেট এ পেমেন্ট স্লিপ লাগিয়েছেন, ঐটাই জমা দিতে হবে। বাকি গুলা ব্যাকআপ (গালি দিয়েন না, কাজ এ আসতে পারে যদি এক সেট নষ্ট হয়); সাথে পুরাতন পাসপোর্ট নিয়ে যাবেন, দেখতে চাইতে পারে। টিপসঃ যেই ব্যাগ এ কাগজ নিবেন, ঐটায় স্ট্যাপলার, আঠা,কলম নিয়ে যায়েন, কাজে দিতে পারে।

৪। আগারগাঁও সকাল ৯টার মধ্যে চলে গেলে ভালো, ভিড় কম থাকে। গেইট নং ২ দিয়ে ঢুকে যান, ঢুকতেই একটা পেচানো লাইন এর মধ্যে দিয়ে এগিয়ে যাবেন, আর্মিরা আপনার এই কাগজপত্র চেক করে সিল দিয়ে বলে দিবে ৩ তলায় কোন রুমে যাইতে হবে (সাধারণত ৩০১/৩০২)। শোনার সাথে সাথে কাগজ নিয়ে দৌড় দিবেন। ৩ তলায় গিয়ে যেই রুমে যাইতে বলসে ঐটার লাইন খুব তাড়াতাড়ি বের করে লাইনে দারায়া যাবেন, আজাইরা মাঝে দিয়ে ঢুকার ধান্দা কইরেন না, অন্যকেও করতে দিয়েন না (আমি নিজে আজকে ৬-৭ জনকে লাইন থেকে বের করে দিসি এই রকম লাইন ভেঙ্গে সামনে যাইতে চাওয়ায়), দরকার হইলে আর্মি/আনসার যে থাকবে তাকে বলবেন; অনেকে বলবে অফিস এর লোক , সোজা বলে দিবেন তাহলে ভিতরে গিয়ে কথা বলেন লাইনে দাড়ানোর দরকার নাই 😁

৩০১/৩০২ এ আপনার কাগজপত্র আবার চেক করে একজন সিল মেরে দিবে আবেদন গ্রহণ এর , তখন জিজ্ঞেস করে নিবেন কই যাবেন (যদি কাউন্টার এর সামনে লিখা না থাকে কত নাম্বার রুমে যাইতে হবে)। ৩০১/৩০২ এর সামনে লিখা আছে এইখানে কাজ শেষ হইলে ৩০৭ এ যাইতে। ৩০৭ কোনো রুম না, লিফট এর পাশে যেই সিড়ি আছে ঐখানে একজন আর্মি জোয়ান একটা টেবিল নিয়ে বসে থাকে। যিনি আপনার ফর্ম এর সিল দেখে আরেকটা সিল মেরে দিবে (যেইখানে আপনার ৪র্থ তলায় যেতে অনুরোধ করার কথা), এবং বলে দিবে ৪০১ এ যাইতে। ৪০১ ও সেইম জিনিস ৩০৭ এর মত, ৩০৭ এর সিল দেখে আরেকজন আর্মি জোয়ান আপনাকে সিরিয়াল দিবে ছবি/সিগনেচার দেওয়ার এবং রুম নাম্বার বলে দিবে। এই নাম্বার শুনার সাথে সাথে আবার লাইনে দাড়ায়া যাবেন। সিরিয়াল নেওয়ার সময় আর্মিকে খেয়াল করিয়ে দিতে পারেন রি-ইস্যু এর কথা, কারণ নতুন এবং রি-ইস্যু এর লাইন ভিন্ন।

৫। ছবি তুলবেন,সাইন দিবেন, তুলতে না চাইলে ও সমস্যা নাই পুরান ছবি দিয়ে দিবে। কোনো তথ্য এর পরিবর্তন থাকলে বলবেন। সব শেষ হইলে আপনাকে একটা স্লিপ দিবে যেইটার মধ্যে পাসপোর্ট এর ডেলিভারী ডেট এবং সব তথ্য দেওয়া থাকবে।

আপনার কাজ শেষ 😆

** দালালদের পাত্তা দিবেন না, লাইনে গেঞ্জাম করলে সোজা কয়েকজন মিলে বের করে দিবেন, দরকার হইলে আর্মি ডাকবেন।

বি.দ্রঃ এইখানে সব তথ্য এর রেফারেন্স আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিস, ট্রাস্ট ব্যাংক দিলকুশা শাখা, অনলাইনে এমআরপি ফর্ম পূরণ , এবং এক্সপায়ার্ড হয়ে যাওয়া মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট এর সাপেক্ষে।

--

--