ড্রাগনের দেশেঃ পারো

Afsana Jeba
tripsharebd
Published in
8 min readNov 18, 2018

পারো নদী যেখানে থিম্পু নদীর সাথে মিলে ওয়াংচু নাম নিয়েছে সেখানে প্রায় নদীর উপর সাদা স্তূপ। ভাবছিলাম এখানে কে প্রার্থনা করে? পানি বাড়লে তো এই স্তূপ নিশ্চিত ডুবে যায়। পাথরের উপর দাঁড়িয়ে টিপটিপ বৃষ্টিতে ভিজছিলাম। পাশের দোকান থেকে সবাই ডাকাডাকি শুরু করল- চা খেতে আসো! সকালবেলা পেমা ইউসেলিং ভিলাকে বিদায় জানিয়ে পারোর উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছি। সবাই বেশ ফুরফুরে মেজাজে আছে। কিন্তু আমার মাথা ব্যথা। অবশ্য বৃষ্টি, চা, এবং নদীর স্রোত ঘন্টাখানেকের মধ্যে মাথা ব্যথা ভাসিয়ে নিয়ে গেল।

পারো যাবার পথে Tachog Lhakhang বলে একটা মন্দির আছে। এই মন্দির ততটা পরিচিত না হলেও এই মন্দিরে যাবার জন্য পা চু’র উপর যে লোহার ব্রিজ আছে তা বেশ বিখ্যাত। মন্দির পরিচিত না কারণ মন্দিরে সবাইকে ঢুকতে দেয়া হয় না। তো রাস্তা থেকে পঁচিশ ত্রিশ ফিটের মত লাফাতে লাফাতে নেমে দেখলাম পুরানো ব্রিজটায় উঠা যাবে না, পাশে একটা কাঠের ব্রিজ খোলা আছে, ওটায় ওঠা যাবে। কোন দুঃখ হলনা। অতিথি আসবে কি আসবে না এমন দ্বিধার বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে প্রায় নাচতে নাচতে ব্রিজ পার হয়ে ঝোপঝাড় ডিঙিয়ে নদীর পানি পর্যন্ত গেলাম। আগের দিন সময়ের জন্য নদী উপভোগ করতে পারিনি, আজ এসব পাত্তা দেয়া চলবে না। সময় গেলে যাক, বৃষ্টি হলে হোক! নদীতে পানি খুব বেশি নেই, তাই বলে স্রোতের গর্জনের দাপটের কিন্তু কমতি নেই। পানির রঙ এত স্বচ্ছ সুন্দর যে লিখে বুঝানো সম্ভব না। একটা বড় পাথর দখল করে বসলাম। শান্তি বিঘ্ন করে সবগুলো এসে ভিড় করল। হঠাৎ মনে হল ভ্রমণসঙ্গী হিসেবে একজন বা দুইজন মানুষই যথেষ্ট। এর বেশি দরকার নেই। আরেকটু দূর এগিয়ে আমি পাথর কুড়াতে শুরু করলাম। বৃষ্টি তখনো দ্বিধা কাটাতে পারেনি। কিন্তু আমি দ্বিধা কাটিয়ে আগেভাগে সোয়েটার খুলে রেখেছি। পাথর কুড়ানো শেষ হলে দেখলাম টাইগার উপর থেকে পাথর ছুড়ছে! এরপর পাথরের উপর দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে অনন্যাকে সাবধান করতে গিয়ে অতি উত্তেজনায় আমারই পা ফসকে গেল। জুতা-মোজা ভিজে গেছে এই দুঃখ আমার সহ্য হলনা! আমি সারাদিন থাকব কীভাবে? আর আগামীকাল টাইগারস নেস্ট ট্রেক করার কথা। আমি কি খালি পায়ে যাব!?

পা চু

পারো বিমানবন্দর ভিউপয়েন্টে যখন গেলাম, তখন আমি রীতিমত চেচামেচি করছি। সবাই গাড়ি থেকে নেমে যাওয়ার পর টাইগার কোথা থেকে যেন এক জোড়া স্যান্ডেল এনে আমার সামনে রেখে গেল। তখন বৃষ্টি দ্বিধা কাটিয়েছে। কিন্তু আমি স্যান্ডেল পরে হাঁটতে পারিনা। কী আর করা। বাপের সাইজের স্যান্ডেল পরে সবার সাথে গিয়ে দাঁড়ালাম। টাইগার বলল এই স্যান্ডেল তোমার পায়ে ভালো লাগছে। আমি দেখলাম মৃত মানুষের পা নিয়ে আমি হাঁটাচলা করছি। এই বিষয় নিয়ে এত কথা বলছি এজন্য যে আমি মানুষটা পা নিয়ে খুবই সেনসিটিভ। সারা শরীর নোংরা থাকলেও আমি পা কখনো ময়লা হতে দেই না। এবং এজন্য আমি কখনোই স্যান্ডেল পরিনা। শীত গ্রীষ্ম বর্ষা সবসময় আমি মোজা জুতা পরে ঘুরি।

যাই হোক, এই বিমানবন্দর বোধ হয় পৃথিবীর অন্যতম সাধারণ বিমানবন্দর। স্থাপত্যের তেমন মারপ্যাচ নেই। নীলাভ সবুজ রঙের পিচ রুফ – প্রকৃতির সাথে তেমন কোন বিরোধিতা করার বালাই নেই। স্টাইলটাও ভুটানের জং এবং সাধারণ বাড়িঘরের মত। সাদা দেয়াল, কাঠের জানালা। আমি নিশ্চিত আমার স্থাপত্য সহপাঠীরা কঠোর সাধনা করেও এমন সাধারণ অথচ সুন্দর জিনিস বানাতে পারবে না। Terminal বলতেই আমাদের শিখানো হয় challenging architecture, কঠিন সব structure এর খেলা; সাইট যেখানেই হোক, স্কয়ার ফিট যত কম বা বেশি হোক, মানুষ যত বেশি বা কম আসুক!

Paro International Airport

এরপরের গন্তব্য জাতীয় যাদুঘর। Rinpung Dzong এর ঠিক ঘাড়ের উপর এই মিউজিয়াম। আসলে এই জঙের ওয়াচ টাওয়ারটাকেই পরে মিউজিয়াম বানানো হয়। গোলাকার সাদা বিল্ডিং, প্রাচীন কোন দুর্গের মত দেখতে। কিন্তু ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হবার কারণে মিউজিয়াম পাশের একটা বিল্ডিঙে স্থানান্তরিত হয়েছে। মোট চারটা ঘর। প্রথম ঘরেই Mask Dance এর জিনিসপাতি সাজানো এবং একটা এলইডি স্ক্রিনে বিভিন্ন নাচ দেখানো হচ্ছে। আমাকে আর অনন্যাকে তখন পাগলে পেল। আমরা এই স্ক্রিনের সামনেই mask dance এর বিভিন্ন স্টেপ প্র্যাক্টিস করতে শুরু করলাম! কারণ রাতের বেলা আমাদের নাচার কথা! দেখা গেল সবার পুরো মিউজিয়াম ঘুরা শেষ, আর আমরা তখনো নাচের স্টেপ শিখতেই ব্যস্ত। খুশি হলাম এই দেখে যে কোন গার্ড এসে বলল না যে এখানে নাচা যাবে না!

পরের ঘরটা সাজানো ভুটানের সাথে ভারতের সম্পর্কের নানা ছবি দিয়ে। এর পরের ঘরে আছে প্রাকৃতিক ইতিহাস এবং প্রকৃতি সম্পর্কিত জিনিসপাতি দিয়ে। প্রথমেই স্টাফড স্নো লেপার্ড দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গেলাম। ভুটানে প্রায় ৩১ রকম Rhododendron আছে এটা দেখে তো আমার চোখ কপালে উঠে গেল! পাঁচ দিনে আমি একটা ফুলও দেখলাম না? আবার নাকি রয়েল বেঙ্গল টাইগারও আছে! ধরা যাক, ভুটানের এই বাঘ পরিবারের আত্মীয় থাকে সুন্দরবনে, ওদের জীবনে একবার দেখা করতে মন চাইতেই পারে! ওরা কী করে দেখা করবে? কোন সুযোগই তো রাখি নাই আমরা।

যাই হোক স্যুভনির শপ থেকে বই, কার্ড কিনে দুকদম হেঁটে গিয়ে একটা খোলা জায়গায় বসলাম, ওখান থেকে জঙের লাল ছাদ দেখা যায়, খুব কাছে, কিন্তু এইদিক দিয়ে নামার কোন পথ নেই। সামনে পা চু, এবং পারো উপত্যকার হলুদ ধানের ক্ষেত। মনোরম দৃশ্য। আমাদের জঙে যাওয়ার তাড়া ছিলনা বলে এখানে বসেই চারপাশ উপভোগ করছিলাম।

Rinpung Dzong and Paro Valley

জঙের সামনে যখন গেলাম তখন সন্ধ্যা প্রায়। নদীর গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে থাকা এই জঙে যেতে হয় নেমি যাম নামের কাঠের সুন্দর ব্রিজ পার হয়ে। এরা শুধু জঙগুলোই সুন্দর বানায়নি, কাঠের ব্রিজগুলোতে বেশ মনোযোগ দিয়েছে!

এরপরের তিন চার ঘন্টা আমরা রাস্তায় রাস্তায় হেঁটে কাটালাম। আমি অবশ্য জুতা কিনার বহু সাধনা করলাম কিন্তু ব্যর্থ হলাম। রাতের বেলা ভারতীয় রেঁস্তোরায় খেয়েদেয়ে রাস্তার উপর “সুন্দরী কমালার” সাথে নেচে তারপর Dechen Hill resort এ গেলাম। ততক্ষণে সব অন্ধকার, সব কার্যক্রম বন্ধ। ছাড়া ছাড়া কয়েকটা দোতলা বাড়ি, একটার দোতলায় আমি-শৈলী স্থান পেলাম; সেখান থেকে রাতের আলোকসজ্জায় জং দেখা যায়। কিন্তু বাকি সব অন্ধকার, থিম্পুর মত পুরো শহর আলোকিত না।

Rinpung Dzong

পরের সকালে পেমা আমাকে দেখে আতঁকে উঠল- তুমি সোয়েটার পরেছ কেন? অনেক গরম লাগবে আজকে! আমাদের টাইগার নেস্টে বা তাক্তসাঙে ট্রেক করবার কথা। প্রায় ১০৩০০ ফিট উচ্চতায় অবস্থিত এই জঙে যেতে হলে ৩০০০ ফিট হেঁটে উঠতে হবে। আমি জীবনে কোনদিন বাংলাদেশের পাহাড়েই একশ ফিটও উঠি নাই। তো তাক্তসাঙের টিকেট নিয়ে, পার্কিং পার হয়ে গাছপালা সরে যেতেই প্রথম এই মনেস্টারির ভিউ দেখে মনে হল- এই অমানবিক জিনিসটা ওখানে বানিয়েছে কে? ধূসর রঙের পাথুরে পাহাড়ের উপর এই জং বলা যায় রীতিমত ঝুলেই আছে! বিশ্বাস করা হয় গুরু পদ্মসম্ভব এক বাঘিনীর পিঠে চড়ে তিব্বত থেকে উড়ে এখানে আসেন এবং তিন বছর তিন মাস তিন সপ্তাহ তিন দিন তিন ঘন্টা এখানে ধ্যান করেন। এই গুরু পদ্মসম্ভবই ভুটানে বৌদ্ধ ধর্ম নিয়ে আসেন।

Tiger’s Nest Monastery (মাঝখানের পাহাড়ের সাদা বিন্দু)

শুরুতেই পাইন বনের মধ্যে একটা ছোট ঝরনা পাওয়া গেল, সেখানে দুটো ঘরে প্রেয়ার হুইল রাখা, পানি শক্তিতে চলে, নির্দিষ্ট বিরতিতে টুং টাং বাজছে। তারপর আর কী, এই খাড়া পথ উঠতে উঠতে একটু পরপর ক্লান্ত হয়ে যেতে থাকলাম। যাকে পেলাম তার সাথেই গল্প জুড়ে দিলাম। কিন্তু মানুষ যতটা ভয় দেখিয়েছে উঠাটা ততটা কঠিন মনে হলনা। আড়াই ঘন্টা পার হবার পর যখন চোখের লেভেলে তাক্তসাঙ দেখলাম, তখন খুশি হবার পাশাপাশি দুঃখও পেলাম। খুশি বা অবাক হলাম এই দেখে যে, আবার বলছি, এই জিনিসটা এখানেই কেন বানাতে হল? স্থাপত্য আর সব জঙের মত হলেও এর একটা আলাদা মোহ আছে। পাথরের খাঁজে এই এটুক জায়গার মধ্যে খুব গরিমা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। পেছনে দ্বিধাহীন নীল আকাশ, নিচে হরেক সবুজের পাইন বন। আমার কথা হল এখানে বিল্ডিং ম্যাটেরিয়াল কী করে পৌঁছেছে আর কন্সট্রাকশনের কাজই বা কীভাবে করেছে? আর দুঃখ পেলাম এই দেখে যে যেখানে হাত বাড়ালেই এই মন্দির ধরতে পাব পাব অবস্থা তখন আমার তাকে ছোঁয়ার জন্য আবার নিচে নামতে হবে, তারপর আবার উঠতে হবে, সামনে অগণিত সিঁড়ি! পাহাড়ী রাস্তা ঠিক ছিল, এই সিঁড়িগুলো আমার খুব বিরক্ত লাগল। আরও অনেক আগে থেকেই পানির প্রবল শব্দ শোনা যাচ্ছিল, কিন্তু কোথাও ঝরনা নেই। পানির শব্দ তীব্র থেকে তীব্রতর হলেও কোথাও কিছুর দেখা মিলছিল না। ঝরনাটা এমন জায়গায় যে ঠিক ওর সামনে না গেলে ওকে দেখা যায় না। সিঁড়ি দিয়ে নামা শেষ হলে এই ঝরনার অভিনন্দন নিয়ে এবং এই পবিত্র পানি পান করে ব্রিজ পার হয়ে দুমিনিট উঠলে পরেই বহু আকাঙ্ক্ষিত তাক্তসাঙ। সেখানে এক গাছতলায় বেঞ্চের উপর বসে রইলাম অন্যদের আসার অপেক্ষায়। আলাপ হল একজন মাল্টিজ এবং ক্রোয়েশিয়ানের সাথে। ক্রোয়েশিয়ান মেয়েটি হাসতে হাসতে বলল- আমি কিন্তু ঢাকায় গিয়েছি। বঙ্গবাজার! আমি বুঝলাম না বঙ্গবাজার এত জনপ্রিয় কেন!

মোবাইল বা ব্যাগ বা কোনকিছু নিয়েই ঢুকা যাবেনা। আবার সিঁড়ি ভেঙে উপরে উঠা। প্রত্যেকটা ঘরই একেকটা উপাসনালয়। খুব গম্ভীর পরিবেশ। শেষের দিকের তিনটা মন্দিরের ঘরে গিয়ে মনে হল, না ধ্যান করার জন্য আদর্শ জায়গাই বটে! এত শান্ত সুন্দর গম্ভীর পরিবেশ। আমাকে আকর্ষণ করল বড় বড় জানালা বা ব্যালকনির মতন জায়গাগুলো যেখান থেকে বাইরে দেখা যায়। পাহাড়গুলোর গায়ে পরতে পরতে ঘন পাইন সাজানো, কোনটা হালকা সবুজের রেখা, কোথাও গাঢ় সবুজ। দূরের পাহাড়গুলোর ছোট বড় রেখা মিলে কোন বিন্দুতে পৌঁছুবার চেষ্টা। একটা আদুরে ঠান্ডা হাওয়া। সেই তুলনায় ভিতরের মন্দিরগুলো আমাকে খুব বেশি আকর্ষণ করল না।

ফেরার পালা। কিছুদূর যেতেই মাহী অসুস্থ হয়ে গেল, প্রথমে রগে টান লেগে পায়ে ব্যথা পরে হাঁটার চেষ্টা করতে ব্যথা পুরো শরীরে ছড়িয়ে পরল। আমি, আরশি বাকিদের রেখে নামতে শুরু করলাম। বলা হয়নি আধা পথে একটা ক্যান্টিন আছে, ওখান পর্যন্ত ঘোড়ায় আসা যায়। ভাবছিলাম ওখান থেকে একটা ঘোড়া নিয়ে আসব। কিন্তু গিয়ে জানলাম এই বিকেলে কোন ঘোড়া নেই, আর ঘোড়া দিয়ে উঠা যায়, নামা যায়না। পরে টাইগারকে ফোন করায় সে বলল আচ্ছা আমি আসছি। আমি আরশি তখন নীরব বিকেলে মন খারাপ করে ফিরছি, বাকিরা কোথায় জানিনা। ফেরার পথে কোন লোকজন নেই প্রায়। বনের নিজস্ব শব্দগুলো তখন একটু একটু শোনা যাচ্ছে। গাছগুলো মনে হচ্ছে আরেকটু কাছে এসে ঘনিষ্ট হতে চাইছে। আর কোথা থেকে অদ্ভুত সব আলো আঁধার এসে একটা রহস্য তৈরি করছে। গাছের পাতাগুলো যেন আরেকটু গাঢ় রঙ মেখে নিয়েছে সন্ধ্যা উদযাপন করতে। হঠাৎ টুং টাং শব্দ, মনে হল এই প্রেয়ার হুইলের টুং টাং এই আলো আঁধারে একদম নিখুঁত সংগীতের কম্পোজিশনের কাজ করছে। সত্যি বলতে যাওয়ার সময় এই জিনিসটা তেমন করে অনুভবই করতে পারিনি যতটা ফিরার সময় মনে হল।

অন্ধকারে অপেক্ষা করতে করতে একে একে সব ফিরে এল। পরে শুনলাম, টাইগার গিয়ে, মাহীর দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে, কোন কথা না বলে, ওকে পিঠে তুলে হাঁটা শুরু করেছে। পরে মাহী প্রবল আপত্তি জানানোয় টাইগার এবং তার এক বন্ধুর ঘাড়ে ভর দিয়ে হেঁটে হেঁটে এসেছে। টাইগার উপরে না গেলেও হয়তো আমরা মনে কিছু নিতাম না, পিঠে তুলে হাঁটা শুরু না করলেও কিছু হতো না, কিন্তু সে যে এটা করেছে এর জন্য তাকে ধন্যবাদ দিতেও ইচ্ছে করছে না। কারণ ওরা মনে করে এটাই করা উচিত! আমি তাকে বললাম- Irritated you by every means we can. সে বলল- Don’t say that! We’re one!

আবারও সেই ভারতীয় রেঁস্তোরা। আবারও সেই Dechen hill resort. আগামীদিন বাংলাদেশে ফিরতে হবে। বহু সাধনা করা হল দুই দিন বেশি থাকার। কিন্তু পরদিন ভুটানের ছুটির দিন। পারমিট নেবার ব্যবস্থা নেই।

ফুন্টশলিং এর পথে

পরদিন সকাল সকাল ফুন্টশলিঙের দিকে যাত্রা শুরু হল। মেঘের রাজ্য দিয়ে গাড়ি চলছিল। ফিরে আসতে আসতে মনে হল যদি কোথাও নাও যেতাম মানে কোন জং বা মন্দির বা মিউজিয়াম তাতেও আমার কোন আফসোস থাকতো না। শুধু রাস্তায় রাস্তায় যদি সাত দিন আমাকে ঘুরানো হত তাতেও আমি মনেপ্রাণে পূর্ণ হয়েই ফিরতে পারতাম।

--

--