নতুন উচ্চতায় | সান্দাকফু ট্রেক | দিন ৬, …

সেপি - দার্জিলিং - বনগাঁ - ঢাকা

Nowshad
tripsharebd

--

২৪ অক্টোবর

সান্দাকফু ট্রেক শেষ করে রাতে সেপিতে থাকলাম। অনেক মজা-মাস্তি হয়েছে রাতে, তারপর একটা শান্তির ঘুম। আমাদের শেয়ার্ড জিপ আসার কথা ভোর ৫:৩০ এ। তাই উঠে ব্যাগ গুছিয়ে ফ্রেশ হয়ে নিলাম। বাকি গ্রুপগুলোও সবাই একে একে বিদায় নিচ্ছে।

আমাদের জিপ এসে পৌছাল আধঘণ্টা পরে, ৬:০০টায়। চড়ে বসলাম জিপে, অনেকদিন পর গাড়ীতে উঠা (প্রায় ৫ দিন)। আমাদের যেতে হবে দার্জিলিং, সেপি থেকে প্রায় ৬ ঘণ্টার রাস্তা

পাহাড়ি রাস্তায় যেতে যেতে মনের মধ্যে কেমন জানি একটা ভাললাগা কাজ করছিল, একটা ৫ দিনের ট্রেক ঠিকঠাক শেষ করতে পারায়। জানালার পাশে বসেছিলাম যাতে যেতে যেতে ভিউ ভাল পাই, পাহাড়ের আঁকাবাঁকা রাস্তা, আর ওপাশে সিকিমের বড় বড় পাহাড়গুলোর গা জুড়ে ছোট বড় অনেক বাড়িঘর। তবে এই সুখ খুব বেশিক্ষণ স্থায়ী হল না। রিম্বিক থেকে পুরো গাড়ী ভরে গেল। আমার জায়গা হল পেছনের সীটে যেখানে চারটা সীট মুখোমুখি, বাইরের কিছু দেখার সুযোগ নেই।

একটা জিনিস খেয়াল করলাম, আমার বসতে প্রব্লেম হচ্ছে দেখে পাহাড়ি একজন দিদি, সীট চেঞ্জ করে আমাকে তার সীট দিয়ে দিলেন। সাধারণত কোন মেয়ে আরেকটা ছেলের জন্য এই কাজ করে, এটাতে আমরা অভস্ত্য নই। কিন্তু তাদের ওখানে দেখলাম ব্যাপারটা স্বাভাবিক। ওখানে লোকালদের মাতৃপ্রধান সমাজে মেয়েরাই প্রধান। তাই অনেক কিছুই আমাদের কালচারের সাথে বেশ অমিল। কথায় কথায় জানলাম, দিদির মেয়ের জন্মদিন উপলক্ষে উনারা তিনজন দার্জিলিং যাচ্ছেন ঘুরাফেরা করতে। বেশ কিছুক্ষণ তাদের সাথে কথা হল, বাকিসময় তারা নিজেদের মধ্যে নিজস্ব ভাষায় অনেক কিছু বলল যার আগা-মাথা বুঝার সাধ্য আমার নাই।

তো মাঝে ধোত্রে এসে সকালের নাস্তার বিরতি দিল। মম আর চা খেয়ে একটু চাঙ্গা হয়ে নিলাম। কিছুক্ষণ পর মানেভাঞ্জনে থামল গাড়ি, আমাদের ট্রেকিং এর শুরুর পয়েন্ট ছিল এটা। আমদের গাইড পুর্বা আর রিকজেন বিদায় জানিয়ে নেমে গেল গাড়ী থেকে। গাড়ি আবার ছুটল দার্জিলিং এর উদ্দেশ্যে।

প্রায় দুপুর বেলা আমরা পৌছালাম দার্জিলিং শহরে। গাড়িতে শেষ এর দিকে চাপাচাপিতে একটু কষ্টই হচ্ছিল, তাই নেমে একটু ভাল লাগল।

ক্ষুধা পেয়েছিল, আর আগে থেকেই প্লান ছিল এই কয়দিন দাল-ভাত-সবজি খেয়েছি, তাই দার্জিলিং গিয়ে ইচ্ছে মতন খাওয়া লাগবে। তো চলে গেলাম শিমলা রেস্টুরেন্ট এন্ড বার এ। জায়গাটার পরিবেশ ভালই, তবে একটু আজব। নাম শিমলা রেস্টুরেন্ট, তবে মালিক পাঞ্জাবি, আবার আছে বার কিন্তু ঐদিকে ধর্মীয় ছবি লাগানো দেয়ালে, ধর্মীয় বাজনা/গান বাজছে!

অর্ডার দিলাম ৫টা হায়দ্রাবাদী বিরিয়ানি। ওয়েটার বলল চারটাতেই হয়ে যাবে পাঁচজনের। কিন্তু আমরা অনেকদিন ভালমন্দ খাই না, তাই পাঁচটাই বলা হল। তবে খাবার দেয়ার পর একটু বিপদে পড়ে গেলাম, এতগুলো খাওয়া একটু কষ্টকর হয়ে যাবে। তাও সাহস করে খাওয়া শুরু করলাম। শেষে দেখা গেল, নিজেরটা তো খেলামই, সাথে আরেকজনের থেকেও একটু নিয়ে খেলাম!

পেট খুশি তো মন খুশি, এই খুশি মনেই চললাম আগেরটু সামনে। আমাদের মধ্যে আমি, দিপু আর জাহিদ ভাই দার্জিলিং থাকবো, রাহাত আর নাহিদ ভাই চলে যাবেন শিলিগুড়ি - কোলকাতা - ঢাকা। তাই ওদেরকে জিপএ তুলে দিয়ে আমরা চললাম থাকার হোটেলের খোঁজে। অনেক ট্রেকিং এবং বাজেটের মধ্যে থাকা হয়েছে, তাই আমাদের সিদ্ধান্ত দার্জিলিং এ একটু ভাল থাকবো এবং মনের খুশি মতন খাওয়া দাওয়া করবো। তো খুঁজতে খুঁজতে মল রোডের একদম সাথেই একটা হোটেল পেয়ে গেলাম ২৫০০ রুপি পার ডে তে - Hotel Broadway। সুন্দর কাঠের ইন্টেরিয়র, গিজার আছে, আর ২০ MBPS ওয়াইফাই কানেকশন।

পাঁচ দিন গোসল করার সুযোগ হয়নি, হোটেলে ঢুকেই গরম পানি দিয়ে গোসল করে মনে হল পুরো ট্যুরের ষোলকলা পুর্ন হল। ক্লান্ত ছিলাম, তাই সন্ধ্যা পর্যন্ত একটু রেস্ট নিলাম। কতদিন পর নরম আরামদায়ক বিছানা!

সন্ধ্যার দিকে বের হলাম, পা ব্যাথা, তাই হোটেলের একতলার সিঁড়ী বেয়ে উঠা নামাটাও আস্তে আস্তে করা লাগে। মল রোডে বের হয়ে বেশ ভালই লাগল, দুইপাশে নানা জিনিশের দোকানপাটের অভাব নেই, আর মানুষও ঘুরে ঘুরে নিজের পছন্দের জিনিসপত্র কিনছে।

আমাদের টার্গেট হচ্ছে হাবিজাবি অনেককিছু টেস্ট করা। মোড়েই অনেকগুলো স্ট্রিট ফুড এর কার্ট ছিল, শুরু করলাম মম দিয়ে। তারপর হেঁটে আরেকটু এগিয়ে গিয়ে একটা খুব সুন্দর দোতলা রেস্টুরেন্ট-ক্যাফে চোখে পড়ল — Glenary's Bakery Resturant & Pub। ভেতরে ঢুকে হট চকোলেট অর্ডার করলাম, পরিবেশ খুব ভাল লাগল। বারান্দায় বসলাম, এখান থেকে রাতের দার্জিলিং শহরে পাহাড়ের গায়ে জ্বলজ্বল করা অনেক আলো দেখতে ভালই লাগছিল। তারপর গেলাম মন রোড চত্বরে। সেখান থেকে চা কিনলাম, তারপর গরম গরম নুডলস খেয়ে আস্তে ধীরে ব্যাক করলাম হোটেলে। তারপর রুমে এসে ইন্টারনেট ঘাটতে ঘাটতে ঘুম।

২৫ অক্টোবর

সকালে উঠে রেডি হয়ে বেরিয়ে পরলাম। খুব সুন্দর রৌদ্রজ্বল দিন, বেশ ক্লিয়ার আকাশ, ঠাণ্ডাটাও একটু কম।

হোটেলের গলির সামনে থেকেই একটা গাড়ি ঠিক করলাম লোকাল সাইট সিয়িং এর জন্য। তবে সেদিন একটা দুইটা জায়গা অফ ছিল।

প্রথমেই গেলাম জাপানিস টেম্পল - বেশ বড় জায়গা। একপাশের প্রায় পুরোটাই সাদা স্থাপনার নাম Peace Pagoda । একপাশে একটু উঁচু সিঁড়ী সেখানে গৌতম বুদ্ধের অনেকগুলো মুর্তি। দেয়ালে কাঠের খোদাই করা অনেক কারুকার্জ এবং ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে। আরেকটা জিনিস খেয়াল করলাম যে কাঞ্চনজঙ্ঘা খুব পরিষ্কার দেখা যায়।

তবে মূল উপাসনালয় নিচেই, এর নাম লিখা ছিল - Buddha Temple। একটা দোতলা স্থাপনা। আমরা উপর তলায় গিয়ে দেখলাম সেখানে মাটিতে কিছু হাতে বাজানোর মতন ঢোল আর কাঠি রয়েছে। দেখে আমরাও বসে পড়লাম। কতক্ষণ প্রার্থনা দেখে ও ঢোল বাজিয়ে বাইরে বেরুলাম।

বাইরে বেরিয়ে দেখলাম জ্যাম লেগে আছে গাড়ির ভিড়ে। সেই জ্যাম ঠেলে আমাদের গাড়ি চলল রক গার্ডেনের দিকে। প্রায় অনেকটা নিচে নামতে হয় রক গার্ডেন যাবার পথে।

রক গার্ডেন আসলে একটা পাথুরে ঝর্নার স্টেপে স্টেপে নিচে নেমেছে। আর সেটা ঘিরেই সিঁড়ী বানানো হয়েছে মানুষের উঠার সুবিধার্তে। বেশ ভিড় এখানে, একটু নোংরাও। পাশের একটা দোকানে মম খেলাম, আর দুইজন বাঙ্গালীর সাথে বেশ কতক্ষণ কথাও হল।

তেমন একটা ভাল লাগছিল না, তার মধ্যে পায়ে ব্যাথা নিয়ে আমাদের কাররই অতো উপরে উঠতে ইচ্ছা ছিলনা, তাই দুই তলা উঠে কিছুক্ষণ বসে থেকে আবারো গাড়িতে ফিরে আসলাম।

আমাদের পরবর্তী গন্তব্য বাতাসিয়া লুপ, দার্জিলিং এর এই জায়গাটার ছবি সবসময় দেখে আসছি। ২০ রুপি টিকিট দিয়ে ঢুকলাম। মূলত দার্জিলিং হিমালয়ান ট্রেন নিচ থেকে উপরে উঠার জন্য একটা লুপের মতন রেল লাইন পুরো জায়গাটা ঘিরে। মাঝে একটা স্মৃতিস্তম্ভ আছে যেখানে এখজন সৈনিক এর মুর্তি দাঁড়িয়ে স্মৃতিস্তম্ভের সামনে।

এখান থেকে দার্জিলিং শহরটার খুব ভাল একট ভিউ পাওয়া যায়, আর সাথে কাঞ্চনজঙ্ঘা তো আছেই।

বাতাসিয়া লুপ ঘুরে চলে গেলাম দার্জিলিং এর সবচেয়ে বড় মনাস্ট্রিতে। সেখানে ভিন্ন ভিন্ন ক্লাসরুম আছে। আমরা সোজা বড় প্রেয়ার হল এ চলে গেলাম। সৌভাগ্যক্রমে তখন ভেতরে প্রার্থনা চলছিল। বিশাল হল, তার প্রটি ইঞ্চি বিভিন্ন কারুকার্যে সাজানো। অনেকগুলো অবতার দেয়ালে দেয়ালে। মাঝে একজন খুব বয়ক্স প্রধান কেউ, তাকে ঘিরে অনেক মানুষ অনেক বেশ এ দাঁড়িয়ে আছে। ঢোল আর সানাই টাইপের জিনিস এর একটা ছন্দে বাজে কিছুক্ষন মন্ত্র বলার পরপর। সে এক অন্যরকম আবহ।

মনাস্ট্রিতে বেশ ভাল সময় কাটিয়ে ফিরে এলাম। ড্রাইভার আমাদের নামিয়ে দিল দার্জিলিং রেল স্টেশনে। UNESCO World Heritage Site এটা। ছোট ছোট ট্রেন এবং সরু রেললাইন মেইন রাস্তার পাশ দিয়ে চলে গিয়েছে অনেকদূর। টয় ট্রেন এর নাম শুনেছি অনেক, ছোট বেলায় ইংরেজি বইয়েও ছিল। সেটা নিজের চোখে দেখে ভাল লাগল। এখান থেকে ঘুম স্টেশন ৮-৯ কিলোমিটার। টয় ট্রেন এখানে থেকে ঘুম, ঘুম থেকে এখানে যাওয়া আসা করে, টিকিট ৮০০ রুপি। আরেকটা রুট আছে, দার্জিলিং থেকে শিলিগুড়ি। সেটার টিকিট ১২০০ বা ১৫০০ রুপি সম্ভবত। তবে অনেক বেশি সময় লাগে।

ষ্টেশনের পাশেও একটা হিন্দু মন্দির রয়েছে, ফেরার আগে সেটাও দেখে আসলাম।

তো, দুপুর পর্যন্ত ঘুরে ফিরে ক্ষুধা পেয়েছিল বেশ, চলে গেলাম ইসলামিয়া রেস্টুরেন্ট। অনেকদিন পর গরুর মাংস, পরোটা, রাইস — বেশ ভাল খাওয়া হল।

এবার আমাদের কেনাকাটার পালা, চলে গেলাম বিগ বাজার। দুই তলা মার্কেট, এহন কোন জিনিস নেই যে পাওয়া যায় না। আমাদের দেশেরর তুলনায় দামও অনেক কম। যার যার প্রয়োজন মতন কেনাকাটা করতে করতে সন্ধ্যা হয়ে গেল।

হোটেলে ফিরে এসে রেস্ট নিতে নিতে রাত ৮ টা। ইচ্ছা ছিল আজকেও Glenary’s এ যাওয়ার, কিন্তু ৮টার সময় বন্ধ হয়ে যায় বলে মিস হয়ে গেল। আসলে ৮টায় দার্জিলিং এর প্রায় সব দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। শুধু এই মল রোডেই যা একটু আধটু খোলা থাকে। পাশেই KFC ছিল, সেখানেই রাতের খাবারের পালা চুকিয়ে নিলাম। তারপর রুমে এসে ব্যাগ গোছগাছ করে শুয়ে পড়লাম।

২৬ অক্টোবর

জাহিদ ভাই ফিরবেন চ্যাংড়াবান্ধা দিয়ে, আর আমি এবং দিপু বেনাপোল। তাই জাহিদ ভাই আগে আগে বের হয়ে গেলেন।

আমরা দুইজন সকাল ১০টার দিকে শেয়ার্ড জিপে রওনা দিলাম শিলিগুড়ীর উদ্দেশ্যে। মজার জিনিস খেয়াল করলাম জিপে ভেতরে। সামনে একপাশে হনুমানের ফলক রাখা, আবার লুকিং গ্লাস এ যিশু খ্রিস্টের কার্ড ঝোলানো, তারপর উপরে দুইটা সুরা লিখা কাগজ লাগানো!

আমাদের শিলিগুড়ি পৌঁছাতে দুপুর হয়ে গেল। কোলকাতা বাসের টিকিট কাটবো, কিন্তু ওখানের কাউন্টার গুলোর ঝামেলা হচ্ছে আমাদের মতন একটা বাসের একটা অফিশিয়াল কাউন্টার না, কেমন জানি সব খিচুড়ি। তাই এই খিচুড়ির মধ্যে শেষমেশ শ্যামলী যাত্রী পরিবহন থেকে এসি বাসের টিকিট কাটলাম সন্ধ্যা ৬ টার। আমাদের মতন অত ভাল কাউণ্টার নয় কোনটাই। তো এই ৪ ঘণ্টা সেখানে বসেই ঝিমানো। টিকিট কেটে হিসেব করে দেখলাম আমাদের দুইজনের কাছে রুপি আছে মাত্র ৮০০, এই রুপি দিয়ের বর্ডার পৌঁছানো লাগবে দুইজন তিনবেলা খেয়ে। তাই দুপুরে একটু ডাল-ভাত-ডিম দিয়েই চালালাম।

বাস আসার একটু আগে জানানো হল এসি ৩ সীটের যেটার টিকিট কেটেছি সেটা আসবে না। ৪ সীটের ৬:৩০ এর বাসের টিকিট দেয়া হল। যদিও ৬০০ রুপি ফেরত পেয়ে আমাদের চিন্তা দূর হল, কিন্তু Volvo বাস হওয়া সত্ত্বেও খুব একটা আহামরি না। লেগ স্পেস আমাদের দেশে চলা ভলভো থেকে কম। কিন্তু সাস্পেনশন ভাল, আর রাস্তা ভাল থাকায় ভালই টেনে চলল।

২৭ অক্টোবর

শিলিগুড়ি থেকে কোলকাতা, সাড়ে পাঁচশ কিলোমিটার রাস্তা। রাত পেরিয়ে সকাল ১০ টার কাছাকছি, কোলকাতা গিয়ে বনগাঁ আসা উলটো রাস্তা, আর সময়ও নষ্ট। তাই বাস থেকে নামলাম চাকদহ। সেখান থেকে ২৭ রূপিতে লোকাল বাসে সোজা বনগাঁ । সেখান থেকে ভ্যানে হরিদাশপুর-বেনাপোল বর্ডার। পার হতে সময় লেগেছে বড়জোর ১০-১৫ মিনিট। ডাউকি দিয়ে ঢুকেছি দেখে উনাদের কম্পিউটারে রেকর্ড নেই, তাই অফিসার সিল চেক করে বলে দিলেন যেন এর পর থেকে যেখান দিয়ে ঢুকেছি সেখান দিয়েই যাবার চেষ্টা করি, এতে উনাদের সুবিধা হয়।

তো, এপারে এসে কোন ভাল বাসের টিকিট পেলাম না। তাই আবার শ্যমলিই সই। তবে আমি ভারত বা বাংলাদেশে আর শ্যামলীতে উঠবো না বলে ঠিক করলাম, বাসগুলো খুব একটা ভাল লাগেনি টিকিটের দামের তুলনায়।

দুপুরে খেয়ে বাস ছাড়ল প্রায় ৩ টায়, ফেরিতে জ্যাম ছিলনা। ঢাকায় পৌছালাম যখন তখন রাত অলমোস্ট ১২টা।

দিন ০

দিন ১

দিন ২

দিন ৩

দিন ৪

দিন ৫

দিন ৬ এবং শেষ

--

--