ওদের মতাদর্শ অনুসরণ না করা পর্যন্ত ইহুদি ও খ্রিষ্টানরা কখনোই তোমার প্রতি সন্তুষ্ট হবে না
১১৯. হে রসুল! আমি তোমাকে সত্যসহ সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারী হিসেবে পাঠিয়েছি। জাহান্নাম যাদের ঠিকানা, তাদের ব্যাপারে তোমাকে কখনোই কোনো প্রশ্ন করা হবে না।
১২০. ওদের মতাদর্শ অনুসরণ না করা পর্যন্ত ইহুদি ও খ্রিষ্টানরা কখনোই তোমার প্রতি সন্তুষ্ট হবে না।
ওদের বলো, আল্লাহর পথনির্দেশই প্রকৃত পথনির্দেশ।
সত্যজ্ঞান লাভের পর তুমি যদি ওদের ভ্রান্ত ধ্যানধারণা অনুসরণ করো, তাহলে আল্লাহর হাত থেকে কেউ তোমাকে রক্ষা করতে পারবে না, তোমার কোনো সাহায্যকারীও থাকবে না।
১২১. আমি যাদের কিতাব দিয়েছি, তাদের মধ্যে যারা তা যথাযথভাবে পাঠ ও অনুসরণ করে তারাই সত্যিকারের বিশ্বাসী। আর যারা এ সত্যকে প্রত্যাখ্যান করে তারা আসলেই ক্ষতিগ্রস্ত।
২. সূরা বাকারা, ১১৯
আমরা যে যুগে বাস করি, এই যুগে পশ্চিমা যে বিশ্বকে অনুসরন করে আমরা নিজেদের ধন্য (!) মনে করি, সেই পশ্চিমে কোন মতাদর্শ সারা বিশ্বজুড়ে ঐ পশ্চিমের যারা নিজেদের মোড়ল মনে করে, তারা সারাবিশ্বে এক্সপোর্ট করার মহাজনী কাজ করে? কারা মধ্যপ্রচ্যে সেই মতাদর্শ এক্সপোর্ট করতে ব্যস্ত? কি সেই মতাদর্শ যা প্রতিষ্ঠা করার জন্য তাদের যাবতীয় এ্যাপারেটাস ব্যস্ত?
একটু ঠান্ডা মাথায় ভাবলেই আমরা বুঝতে পারবো সেই মহার্ঘ্য বস্তুর নাম ডেমোক্রেসি বা পশ্চিমা গণতন্ত্র। “পশ্চিমা” কারন একটা দেশের অধিকাংশ লোক মিলেও যদি ভোট দেয় যে আমরা স্রষ্টার সংবিধান অনুসারে রাষ্ট্র চালাতে চাই, অথবা অধিকাংশ লোক মিলে যদি এমন কাউকে ক্ষমতায় দেখতে চায় যারা পশ্চিমের কথা ওঠে ও বসে না, যাদের কিবলা ওয়াশিংটন কিংবা লন্ডন নয়, তাহলে যত বেশি সংখ্যায় ভোট হোক বা বিশাল ব্যবধানে বিজয় হোক না কেন, তখন আর গণতন্ত্রের কোন মূল্য তাদের কাছে থাকে না। এরকম বহু দেশের উদাহরন আছে।
এ থেকে বোঝা যায় এই পশ্চিমা গণতন্ত্রের নিশ্চই এজেন্ডা ভিন্ন।
সুরা বাকারায় আল্লাহ সতর্ক করে দিচ্ছেন যে ওদের মতাদর্শ অনুসরন না করা পর্যন্ত তারা কিন্তু সন্তুষ্ট হবে না।
আফসোস আমাদের বেশিরভাগ মুসলিম দেশের নেতৃবৃন্দ তাদের ঐ ওয়াশিংটন, লন্ডন কিবলার যে প্রতিপালক সেই তাগুতকে সন্তুষ্টতেই বেশি ব্যস্ত।
এই আমরা যে আম-জনতা, তাদের করণীয় কি?
নু্যণত করণীয় সম্ভবত এই বাস্তবতাকে উপলব্ধি করা, পশ্চিমা গণতন্ত্র যে তাগুতি সেটা রেকগনাইজ করা।
আমাদের জন্যই আল্লাহ বলছেন:
সত্যজ্ঞান লাভের পর তুমি যদি ওদের ভ্রান্ত ধ্যানধারণা অনুসরণ করো, তাহলে আল্লাহর হাত থেকে কেউ তোমাকে রক্ষা করতে পারবে না, তোমার কোনো সাহায্যকারীও থাকবে না।
আল্লাহ আমাদের তাগুতকে চেনার দৃষ্টিশক্তি দান করুন, তাগুতকে অশ্বীকার করার মাধ্যমে এর প্রভাবকে প্রতিহত করার শক্তি দিন এবং তাগুতকে অস্বীকারের মাধ্যমে সত্যকে বোঝার ও ধারন করার তাওফিক দান করুন। নিশ্চই আল্লাহ তাঁর বান্দার প্রতি মমতাময় ও ক্ষমাশীল এবং যে সত্যের পথে আসতে চায় আল্লাহ তাকে চূড়ান্তভাবে হেদায়েত করেন।