খোদাদ্রোহী সেকুলারিস্ট ও গণতন্ত্রের পূজারীদের প্রতি (২)
(মহাবিচার দিবসে) সকল মানুষ মহাপ্রভুর সামনে হাজির হবে।
দুর্বলমনারা (যারা ভুয়া তত্ত্বজ্ঞানীদের কথামালায় মোহাচ্ছন্ন হয়ে নৈতিক দুর্বলতাবশত পথভ্রষ্টতায় লিপ্ত হয়েছে, নিজেদের চিন্তাকরার ঠিকাদারী যারা পথভ্রষ্ট বুদ্ধিজীবিদের দিয়ে রাখতো) তখন (ভুয়া তত্ত্বজ্ঞানী) অহংকারী মাতব্বরদের বলবে, “আমরা তো তোমাদের অনুসারী ছিলাম (অমুকের সৈনিক, তমুক আদর্শের অনুসারী, অমুক-বাদ ও তমুক বাদের অনুসারী)। আল্লাহর শাস্তি থেকে আজ আমাদের কিছুটা কি নিষ্কৃতি দিতে পারবে?”
(পথভ্রষ্ট তত্ত্বজ্ঞানী যেমন: স্রষ্টা ও তার বিধানকে অস্বীকারকারী ও অপ্রয়োজনীয় ঘোষণাকারী সেকুলারিস্ট, সো কলড ডেমোক্রেসি চ্যাম্পিয়ন, স্রষ্টার পরিবর্তে যারা “জনগনই সকল ক্ষমতার উৎস” নামক শির্কি / তাগুতি শ্লোগান শিখাতো, বিধানদাতা হিসাবে স্রষ্টার পরিবর্তে পথভ্রষ্ট ও অর্থলিপ্সু স্বেচ্ছাচারী মানুষকে আইনদাতা এমপি বানাতো, স্রষ্টার সংবিধানের চাইতে মানুষের সৃষ্ট ও স্রষ্টাবিরোধী মানুষের হাতে লেখা সংবিধানকে প্রাধান্য দিতো) তখন বলবে,
“আল্লাহ আমাদেরকে (পরিত্রাণের) পথ দেখালে আমরা অবশ্যই তোমাদেরও পথ দেখাতাম। এখন আহাজারি করি বা সহ্য করি, সবই আমাদের জন্যে সমান। আমাদের এখন আর কোনো নিষ্কৃতি নেই।”
- সুরা ইব্রাহিম, ১৪:২১