Find out more about Jagannath Temple Puri
পুরীর শ্রী জগন্নাথ দেব এর পৌরকনিক কাহিনী তে আপনাদের স্বাগত।
বিদ্যাপতি গুপ্ত গুহার পথে সর্ষের দানা ফেলতে ফেলতে গেলেন, গুপ্ত গুহায় পৌঁছানোর পর যখন বিদ্যাপতি নিজের চোখের কাপড়টি খুলে নীলমধবের দিব্য রূপ দেখে মুগ্ধ হয়ে তাঁকে দেখতেই রয়ে গেলেন। গুপ্ত গুহা থেকে ফিরে বিদ্যাপতি মহারাজকে সব কিছু বললেন, এবং রাজাও নিজের ভক্তির টানে পারি দিলো ওড়িশার ওই গুপ্ত গুহায়। কিন্তু যখন রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন বিদ্যাপতির সাথে সেই গুহায় প্রবেশ করলো তখন সেই গুহা শুন্য ছিল, নীলমাধব সেখকনে আর ছিলেন না, রাজা নিরাশ হয়ে রাজমহলে ফিরে আসেন কিন্তু সেই রাতেই তিনি এক সপ্নাদেশ পেলেন তিনি আদেশ পান যে তিনি যেন পুরি হয়ে এক কাঠের এক স্তম্ভকে উদ্ধার করেন যা জলে ভাসমান অবস্থায় রয়েছে। রাজা সেই আদেশ পালন করে পুরী যান এবং পুরীর সমুদ্রতটে এক কাঠের স্তম্ভ ভাসমান অবস্থায় পান।
কিন্তু রাজার সৈনিকেরা সেই কাঠের টুকরো উঠিয়ে আনতে অসফল হয়, শেষে বিশ্ববাসুর সাহায্যে মহারাজ সেই কাঠের স্তম্ভকে রাজমহলে আনা হলো। কিন্তু রাজ্যের কোনো কারিগর সেই স্তম্ভে নীলমাধবের মূর্তি তো দুরুর কথা সেই কাঠে একটা আচরও কাটতে পারছিলো না, যখন এ কাজ অসম্ভব হয়ে উঠলো তখন দেবতাদের শিল্পীকার শ্রী বিশ্বকর্মা স্বয়ং ছদ্মবেশে ধরাধামে আসেন, তিনি রাজাকে বিশ্বাস জোগালেন যে তিনি মূর্তি নির্মাণ করতে পারেন কিন্তু কিছু শর্তে। তিনি বলেন যে তিনি একুশ দিনে ভগবানের মূর্তি নির্মাণ করবেন এবং এই কাজ তিনি একই করবেন আর কেউ যেন তার কাজে বাঁধা না দেয়, মহারাজ তার শর্তে রাজি হন।
সবাই শুধু দরজার বাইরে রোকরামি সস্ত্রের আওয়াজ পেত কিন্তু পনেরো দিন পরে হঠাৎ সব আওয়াজ বন্ধ হওয়া মহারানী চিন্তাই পরে যান, তিনি ভাবেন বুড়ো কারিগর বোধহয় ক্ষুদা তৃষ্ণায় মারা গেছেন সেই কারণে মহারানী দরজা খোলার জন্য ব্যাকুল হওয়ায় মহারাজ দরজা খোলার অনুমতি দেন কিন্তু সেই কারিগর এর শর্ত অম্মান করাই সে সেখান থেকে উধাও হয়ে যায়, কিন্তু ফেলে যায় তিনটি অর্ধেক বানানো মূর্তি যা আজ প্রভু জগন্নাথ, বড় ভাই বলভদ্র এবং ছোট বোন সুভদ্রার রূপে পুরীর শ্রী মন্দিরে স্থাপিত আছে। প্রভুর হাত ও পা অর্ধেক নির্মাণ করা যার কারন এই কথিত আছে। আমরা জানি দ্বাপর যুগে শ্রী কৃষ্ণের লীলা সমাপ্ত হয়েছিল এবং কলি যুগে নীলমাধবের যাত্রা শুরু হয়েছিল বিশ্ববাসুর হাতে। প্রভু শ্রী জগন্নাথ এর ও জ্বর আসে তাঁকেও ওষুধ দেয়া হয় কখনো কখনো তা ঠিক হয়ে যায় আবার কখনো ঠিক হন না ওনার পূনর্জন্ম হয় যা নবকলেবর উৎসব এর নামে প্রচলিত। ব্রহ্ম পদার্থের স্থানান্তরিত হয় পুরোনো থেকে নতুন মূর্তিতে, ব্রহ্মা যা জীবনের প্রমান দেয়। শ্রী কৃষ্ণের অন্তিম সংস্কারের এর সময় তাঁর হৃদয়কে অগ্নি নষ্ট করতে পারেনি তাই যে তাঁর অন্তিম সংস্কার করেছিল সেই সেটিকে কাঠের মধ্যে ঢুকিয়ে সমুদ্রে প্রবাহিত করে দিয়েছিল যা বইতে বইতে পুরীর সমুদ্রোতটে এসে পৌঁছায় যেখান থেকে মহারাজ ইন্দ্রদ্যুম্ন প্রভুর জগন্নাথ বিগ্রহ নির্মাণ করেন।
এইভাবেই হয় প্রভু জগন্নাথ এর স্থাপনা।
Check our Utsav App:
Thank You.