The Trishul of Lord Shiva
ভগবান শিবের হাতের ত্রিশূল কীবোঝায়
ব্রহ্মাণ্ডের সর্বশক্তিমান যিনি, তাঁর শক্তির উদ্দেশ্য কেবলই পিতার ন্যায় ত্রিলোক তথা স্বর্গ মর্ত ও পাতালের রক্ষা করা। সকলকে ন্যায়ের পথে চালিত করতে, অন্যায়ের অবসান করেন তিনি। তিনি মহেশ্বর, সকলের উর্ধ্বে, সকলের রক্ষাকর্তা।
সেই সর্বশক্তিমানের সর্বোত্তম অস্ত্র হল ত্রিশূল। তাই, রুদ্রমূর্তি ধারণকারী মহাদেব যখন পাপের নাশ করতে অগ্রগামী হন তখনই তাঁকে দেখা যায় ত্রিশূল এর সাহায্য নিতে। পুরাণ বিশেষজ্ঞের মতে, ত্রিশূল হল মহাদেবের ত্রিলোচন এর প্রতীক। যার অর্থ, ত্রিশূল অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতের প্রতীক। অর্থাৎ সর্ব কালে পাপের বিনাশ ঘটিয়ে নবারম্ভ আনার লক্ষ্যে মহাদেবের সঙ্গী ত্রিশূল।
কথিত আছে, ব্রহ্মার দম্ভনাশের উদ্দেশ্যে তাঁর চতুর আননের একটির মুন্ডচ্ছেদ করেন আদীদেব। আবার একই কারণে তিনি সূর্যদেবের ও মুন্ডচ্ছেদ করেন।
ত্রিলোক এর রক্ষাকর্তা, নিজ দায়িত্বে অটল, তিনি এতই কর্তব্য পরায়ন যে নিজ পুত্রের মুন্ডচ্ছেদ করেন তিনি।
মতান্তরে আরও অনেক পৌরাণিক কাহিনী অথবা তত্ত্বের উল্লেখ পাওয়া যায়। যেমন, ধরা হয় মহাদেবের ত্রিশূল মানবজাতির তিন গুণের তথা রজস, তমস ও সত্তভ এর প্রতীক। আবার অন্য এক মতে, ত্রিশূল মানব শরীরের তিনটি মুক্ষ ভাগের প্রতীক, যেগুলি হল ডান পার্শ্ব,বাম পার্শ্ব ও সুসুম্না কান্ড। ডান পার্শ্ব ও বাম পার্শ্ব আবার শিব — শক্তির প্রতীক। অর্থাৎ, মানব চরিত্রের দুটি ভাগ, পৌরুষ ও নারীত্ব। লিঙ্গ নির্বিশেষে, শিব-শক্তি প্রতিনিধিত্ব করে চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের। জীবনের মূল দুই দিক কে। অপরদিকে সুসুম্না কান্ড স্থায়িত্বের ও সামঞ্জস্য এর প্রতীক।
আরেক মতে, ত্রিশূল হল মানব অস্তিত্বের তিন দশা, অর্থাৎ জাগ্রত দশা, নিদ্রামগ্ন দশা ও স্বপ্নাছন্ন দশা।
এত মতামতের আসলে একটাই উদেশ্য,আমরা এর থেকে যে ফল পাই, সেটা হল ত্রিশূল এর মাধ্যমে মহেশ্বর মানুষের কামনা, বাসনা ও পাপের বিনাশ ঘটিয়ে সকলকে তিনি নিজের মধ্যে বিলীন করে নেন। একহাতে ত্রিশূলধারী দেবাদিদেব আছেন সকলের মধ্যে, রক্ষাকর্তা রূপে।
Visit us:
Thank You.