What Is RDBMS? DBMS vs RDBMS
কি বন্ধুরা? কেমন আছেন সবাই? গত কয়েক পর্বে What Is Database? What Is SQL? এসব নিয়ে হাবিযাবি লিখতে না লিখতেই আজ আবার লিখতে বসলাম RDBMS নিয়ে। ডাটাবেজ শিখলেন কিন্তু RDBMS শিখলেন না! তাহলে মাঝ পথে তরী ডুবার মতই হবে।
যে কোন ধরনের অর্থাৎ সাধারণ একটা ডায়নামিক ওয়েবসাইট থেকে শুরু করে এডভান্স লেভেল এর ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কিংবা সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট যাই বলেন না কেন আপনাকে RDBMS অবশ্যই অবশ্যই বুঝতে হবে। তাহলে আর দেরি কেন? চলুন শুরু করা যাক।
RDBMS কি? What Is RDBMS?
RDBMS এর পূর্ণরূপ Relational Database Management System. RDBMS হলো ডেটাবেজে বিভিন্ন ডেটা টেবিল তৈরি, নিয়ন্ত্রণ, সম্পর্ক স্থাপন, সংরক্ষণ, রক্ষণাবেক্ষণ, অনুসন্ধান প্রভৃতি কাজের জন্য যে সফটওয়্যার নির্ভর ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।
পরস্পর সম্পর্কযুক্ত তথ্য ও সেই তথ্যগুলাে পর্যালােচনা করার জন্যে প্রয়ােজনীয় জটিল গ্রোগ্রামের সমষ্টিকে RDBMS বলে।
RDBMS সাধারণত ডেটাবেজ ও ডেটাবেজ ব্যবহারীর মধ্যে সমন্বয়কারী সফটওয়্যার হিসেবে কাজ করে। এটি সাধারণত রিলেশনাল ডেটাবেজ মডেলের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে।
RDBMS stands for Relational Database Management System. RDBMS is the basis for SQL, and for all modern database systems like MS SQL Server, IBM DB2, Oracle, MySQL, and Microsoft Access.
A Relational database management system (RDBMS) is a database management system (DBMS) that is based on the relational model as introduced by E. F. Codd.
আরে বাদ দিন তো এত তত্ব আর থিওরি! আসুন খাঁটি বাংলায় মায়ের ভাষায় বুঝে নিই RDBMS কি?
মনে করুন একটা চাকরির জন্য এপ্লাই করতে গেলেন কোন ওয়েবসাইটে। অথবা গেলেন BDJobs.com এ আপনার সিভি Submit করতে। সেখানে নিজের নাম, বাবা মায়ের নাম সহ ইত্যাদি Basic Information দিতে গেলেন। আপনার গ্রামের বাড়ী রাজশাহী তে আর আপনি থাকেন ঢাকায় । এখন ওয়েব সাইটে আপনি আপনার স্থায়ী ও বর্তমান বিভাগ, জেলা ও থানা সিলেক্ট করে সাবমিট করলেন। অপর দিকে ইমাম উদ্দিন নামের কেউও ,তার বাড়ী মনে করেন ফেনী জেলার সদর থানায় , বর্তমানে থাকে চট্টগ্রামে, সেও তার নিজের Resume সাবমিট করলো।
এবার আসুন আসল কথায়। আপনি যদি একজন প্রোগ্রামার বা ওয়েব ডেভেলপার হয়ে থাকেন তাহলে একটু চিন্তা করুন তো একেক জনের বিভাগ, জেলা ও থানা একেকটি । কিন্তু ওয়েবসাইটে ক্লিক করার সাথে সাথেই মুহুর্তের মধ্যে কিভাবে বিভাগের সাথে মিল করে জেলা, আবার জেলার সাথে মিল করে উপজেলা বা থানা সিলেক্ট করছে একজন ইউজার? এখানেই হচ্ছে RDBMS এর খেল। একটা ডাটাবেজ এর সাথে আরেকটি ডাটাবেজ, একটি টেবিলের সাথে আরেকটি টেবিলের কোন ফিল্ড যেভাবে বা যে কারনে সম্পর্কযুক্ত অর্থাৎ Relation,সম্পর্কের জালে জড়িয়ে থাকে ঠিক এই কারনেই একে বলা হয় RDBMS.
যেমন এখানে আমি Division টেবিল থেকে ID ধরে District, আবার District এর ID ধরে Upazilla গুলো retrieve করে নিয়ে এসেছি এটাই RDBMS. ঠিক এভাবে কোন প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন ডিপার্ট্মেন্ট এ বিভিন্ন পদবীর লোক থাকে । ডাটাবেজ থেকে তাদের ডাটাগুলো শো করানোর জন্য আপনাকে অবশ্যই RDBMS জানা অত্যাবশ্যকীয়।
আমি MS SQL Server 2014 তে বাংলাদেশের সকল বিভাগ, জেলা ও উপজেলা নিয়ে একটি ডাটাবেজ তৈরী করেছি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টায় । বিভাগ, জেলা ও উপজেলার নামগুলো উইকিপিডিয়া থেকে নিয়ে Ascending Order এ সাজিয়ে ডাটাবেজ তৈরী করেছি। আপনার যদি কম্পিউটারে MS SQL Server 2012 থেকে পরের ভার্ষন গুলোর যে কোন একটি ইন্সটল করা থাকে তাহলে নিচে আমি যে গিটহাবের গিস্ট দিয়েছি সেখান থেকে হুবহু কপি করে একটা নিউ কুয়েরি নিয়ে এক্সিকিউট করলেই পেয়ে যাবেন ডাটাবেজ (কোড এ আমার নাম মুছা লাগবে না, আমি কমেন্ট করে রেখেছি যাতে code execution time এ error শো না করে।)। কপি করে রেখে দিন। আপনার কাজে আসবে আশাকরি।
আমি যখন C# Programming এর Combo Box Practice করতেছিলাম তখন মাথায় আসে এরকম একটি ডাটাবেজ বানানোর। এই ডাটাবেজ এসকিউএল থেকে ওয়েবসাইট, ডেস্কটপ সফটওয়্যারে ইউজ করা যাবে বিশেষ করে যারা ব্যাসিক ইনফরমেশন ডাটা নিয়ে কাজ করেন তাদের জন্য।
উপরের ভিডিওটি দেখতে পারেন।
নিচে একটি স্ক্রিনশট দিলামঃ
RDBMS কি? RDBMS এর বৈশিষ্ট্য সমুহ | বিস্তারিতঃ
RDBMS সাধারণত ডেটাবেজ ও ডেটাবেজ ব্যবহারীর মধ্যে সমন্বয়কারী সফটওয়্যার হিসেবে কাজ করে। এটি সাধারণত রিলেশনাল ডেটাবেজ মডেলের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে।
রিলেশনাল ডেটাবেজ :
রিলেশনাল ডেটাবেজ মডেলে মূলত পুরো ডেটাবেজকে বিভিন্ন লজিক্যাল ইউনিটে বিভক্ত করা হয়। প্রতিটি লজিক্যাল ইউনিট হলো এক একটি টেবিল। প্রতিটি টেবিলে অনেকগুলো ফিল্ড থাকতে পারে। তবে প্রত্যেকটি টেবিলে একটি কী ফিল্ড থাকা বাঞ্ছনীয়। ডেটাবেজের টেবিলগুলো প্রাইমারি কী ও ফরেন কী এর মাধ্যমে পরস্পর সম্পর্কযুক্ত থাকে বিধায় এই মডেলকে রিলেশনাল ডেটাবেজ মডেল বলে।
RDBMS এর বৈশিষ্ট্য সমুহ :
☞ সহজেই টেবিল তৈরি ও ডেটা ইনপুট দেওয়া যায় এবং একাধিক টেবিলের মধ্যে রিলেশন তৈরি করা যায়।
☞ একটি ডেটাবেজ একসাথে একাধিক ব্যবহারকারী ব্যবহার করতে পারে এবং এক ডেটাবেজের সাথে অন্য ডেটাবেজের তথ্য আদান-প্রদান করা যায়।
☞ ডেটাবেজ টেবিলের ডেটাগুলোকে সাজিয়ে উপস্থাপন করা যায়, ডেটা গুলোর বিভিন্ন ফরমেটের রিপোর্ট তৈরি করা যায় এবং ডেটার ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় গ্রাফ ও চার্ট তৈরি করা যায়।
☞ উইন্ডোজের গ্রাফিক্যাল ইন্টারফেসের সাহায্যে ডেটা এন্ট্রি ফর্ম তৈরি করা যায় এবং ডেটা ভ্যালিডেশনের সাহায্যে ডেটা এন্ট্রি নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
☞ অন্য কোন প্রোগ্রাম থেকে ডেটা ইমপোর্ট করে ডেটাবেজে ব্যবহার করা যায় এবং ডেটাবেজের ডেটার উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যারও তৈরি করা যায়।
RDBMS এর ব্যবহার সমুহঃ
☛ বড় প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন বিভাগের তথ্য ব্যবস্থাপনার জন্য।
☛ অন-লাইন বিমান, ট্রেন, বাস এবং বিভিন্ন খেলা বা ইভেন্ট এর টিকিট ব্যবস্থাপনার জন্য।
☛ ব্যাংকের যাবতীয় লেনদেনের হিসাব-নিকাশ রাখা এবং ইলেকট্রনিক পেমেন্ট সিস্টেমে।
☛ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বা ই-কমার্স এর ক্ষেত্রে তথ্য ব্যবস্থাপনার জন্য।
· ☛ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সকল তথ্য ব্যবস্থাপনার জন্য।
☛ রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংরক্ষণে।
☛ দেশের জনসংখ্যার তথ্য, আদমশুমারি ও ভোটার লিস্ট তৈরির জন্য।
☛ ডাইনামিক ওয়েবসাইট তৈরিসহ আরো অনেক ক্ষেত্রে RDBMS এর গুরুত্বপূর্ণ ব্যবহার রয়েছে।
DBMS ও RDBMS এর মধ্যে পার্থক্যসমুহঃ
DBMS vs RDBMS
DBMS এর পূর্ণরুপ Database Management System. RDBMS এর পূর্ণরুপ Relational Database Management System.
DBMS ডেটা ফাইল হিসেবে সংরক্ষণ করে। RDBMS ডেটা টেবুলার ফর্মে সংরক্ষণ করে।
ডেটা এলিমেন্ট এককভাবে অ্যাকসেস করতে হয়। একাধিক ডেটা এলিমেন্ট একসাথে একই সময় অ্যাকসেস করা যায়।
ডেটা সমূহের মধ্যে কোন রিলেশন থাকে না। ডেটা সমূহ টেবিলে সংরক্ষণ হয় এবং টেবিলগুলো একে অপরের সাথে সম্পর্কিত।
DBMS ডিস্ট্রিবিউটেড ডেটাবেজ সাপোর্ট করে না। RDBMS ডিস্ট্রিবিউটেড ডেটাবেজ সাপোর্ট করে।
ডেটা রিডানডেন্সি থাকে। ডেটা রিডানডেন্সি থাকে না।
অল্প সংখ্যক ডেটা নিয়ে কাজ করার জন্য বিভিন্ন ছোট অরগানাইজেশনে ব্যবহৃত হয়। অধিক সংখ্যক ডেটা নিয়ে কাজ করার জন্য বিভিন্ন বড় অরগানাইজেশনে ব্যবহৃত হয়।
DBMS সিঙ্গেল ইউজার সাপোর্ট করে। RDBMS একাধিক ইউজার সাপোর্ট করে।
DBMS এ ডেটার লো-লেভেল সিকিউরিটি থাকে। RDBMS এ ডেটার মাল্টি-লেভেল সিকিউরিটি থাকে।
উদাহরণ- XML, Microsoft Access ইত্যাদি। উদাহরণ- MySQL, PostgreSQL, SQL Server, Oracle, ইত্যাদি।
আজ এ পর্যন্তই। কমেন্ট করে মতামত জানাবেন। ধন্যবাদ আপনাকে Freelancing Geek এ আসার জন্য।
ভালোবাসা সহঃ ImAmUdDiN